পরম ধৈর্য ও নিপুণ বাসা বুননের কারিগর বাবুই পাখি

429

বিলাইছড়ি প্রতিনিধিঃ-পাখি নয় ধ্রুপদি যেন এক শিল্পী। তার এক একটি বাসা যেন এক একটি শিল্প কর্ম। এজন্য বাবুই পাখিকে কারিগর পাখিও বলা হয়। পরম ধৈর্য নিপুণ বুননে এক একটি বাসা বুনে পুরুষ বাবুই। নারী বাবুইয়ের কাছে যোগ্যতা পরিচয় দেয় পুরুষ বাবুই। কারণ বাসা পচন্দ না হলে, নারী পাখিটি তাকে ছেড়ে যাবে। এভাবে তাল নারিকেলের পাতায় দোল খেতে খেতে চলে বাবুইয়ের সংসার।
বাবুই পাখির বাসা যেন সুনিপুণ কোন এক শিল্পকর্ম। চোকলা পাতা, নলখাগড়া কিংবা নারিকেল ছোবরা বা লম্বাপাতা চিকন করে এক একটি বাসা বুনে পুরুষ বাবুই পাখিরা। একটানা ১৬ দিন ধরে বাসা বুনে এই পাখিটি। কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ, এবার দরকার তার সঙ্গিনীর। সুরে সুরে সঙ্গিনীকে ডাকছে পাখিটি। অবশেষে সারা দেয় নারী বাবুই।
এবার পরীক্ষার মুখোমুখি পুরুষ বাবুই পাখি। কারণ তাকে নয় বরং তার বাসা। কতটা নিরাপদ নিশ্চিত হতে চাই নারী বাবুই পাখি। পছন্দ না হলে আবারও বুনতে হবে নতুন বাসা, যা বুনতে হবে প্রায় ২০ দিন।
তারা এমন একটা লোকেশান খোঁজ করে, সেখানে ঝড়-বৃষ্টির আসলেও যেন গাছের ডালে বাসা টিকতে থাকে। গাছের ভিতরে একটি অংশে থাকবে ডিম বা ছানা অন্যদিকে যাওয়া আসা সরু পথ। বৃষ্টি বা ঝড়-বাদল হতে রক্ষা পেতে লেপতে দেওয়া হয় কাদা মাটি। এর ভিতরে বাসাটা যেতে পারবেনা। নিচের দিকে একটা খোলা আছে, বাতাস আসলেই সেদিকে বের হয়ে যাচ্ছে।
পরীক্ষা পাস করেছে পুরুষ বাবুই পাখি। বাসা তৈরির কাজও শেষ এবার ঘরে আসে ডিম বা প্রকৃতির নিয়মেই আসে নতুন শিশু।
বাড়ি ছাড়ে পুরুষ বাবুই। এবার তার আরও নতুন সঙ্গিনীকে খোজার পালা। আবারও নতুন বাসা বুনে পুরুষ বাবুই পাখি।
এভাবেই এক একটি মৌসুমে ৬ টি বাসা আর ৬ সঙ্গিনীর সঙ্গে কাটে পুরুষ বাবুই পাখি জীবন।