রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবানঃ-কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে লকডাউনে ফাঁকা বান্দরবান শহর। আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে তৎপর। লকডাউনে বান্দরবান বাজারের ওষুধের দোকান ও মুদি দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বলতে গেলে বড় ধরনে প্রভাব পড়েছে বান্দরবানে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিনকে প্রতিদিন কোটি টাকা উপর গুনতে হচ্ছে লোকসান। সেই সাথে কয়েক শত শ্রমিক ও কর্মচারী এবং রকমারী বস্ত্র বিক্রেতারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ওষুধের দোকানগুলো খোলা থাকলেও মুদি দোকানগুলোতে তেমন একটা বেচাকেনা হচ্ছে না। ফলে চরম সংকটে পড়তে হচ্ছে বান্দরবানের সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীদের।
এদিকে বর্তমানে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে স্থানীয়রাও উধাও। সারাদিন নিজের জরুরী প্রয়োজনে গুটিকয়েক মানুষ ঘর থেকে বের হলেও সন্ধ্যার পর পর চারদিকে নীরবতা বিরাজ করছে। কারণ জরুরী পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মতে জরুরী সেবা মুদি, কাঁচা মাল, জ্বালানী, মাছের, হাঁস-মুরগী ও গবাদি পশুর খাদ্যের দোকান খোলা থাকবে। এছাড়াও পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স, বেঁচে থাকার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের গাড়ী ব্যতিত অন্য কোন গাড়ী চলাচল করা যাবে না। জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত কেউ যাতে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে তৎপর। জেলা শহরের ও পৌর এলাকার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে কাউকে বের হতে দিছে না আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বান্দরবান পৌর এলাকাসহ শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষের এবং যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, লকডাউন চলাকালে সবাইকে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তবে কেউ সরকারী নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।