পানির প্ল্যান্টটি ঠিকমত কাজ করলে আগামীতে এই এলাকায় আর পানির ঘাটতি থাকবে না-পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি

316

রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবানঃ-বান্দরবান সদরের লাঙ্গিপাড়ায় জলবায়ু ও ভুতাত্ত্বিক জটিলতার বিবেচনায় একটি বিশেষ ও ব্যাতিক্রমধর্মী পদ্ধতিতে নিরাপদ খাবার পানির প্ল্যান্ট তৈরী করা হয়েছে, আর এই পানির প্ল্যান্টের মাধ্যমে এলাকাটির প্রায় ২ থেকে ৩শত পরিবার বিশুদ্ধ পানি পাবে বলে আশা করছে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সদরের লাঙ্গিপাড়ায় এই নিরাপদ খাবার পানির প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ এর হেড অব লীফ অপারেশন অফিসার জহুরুল হক সরকার, হেড অব এক্সটার্নাল এফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ,সিনিয়র সাস্টেইনেবিলিটি এফেয়ার্স ম্যানেজার আহমেদ রায়হান আহসান উল্লাহ্, ডিভিশনাল লীফ ম্যানেজার মামুনুর রশীদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ এর কর্মকর্তারা জানান, লাঙ্গিপাড়ায় এই নিরাপদ খাবার পানির প্ল্যান্টটি থেকে প্রতিদিন ৫হাজার লিটার পানি পরিশোধন করা সম্ভব হবে আর যার মাধ্যমে প্রায় ২ থেকে ৩শত পরিবার উপকৃত হবে।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ এর অর্থায়নে সদরের লাঙ্গিপাড়ায় যে নিরাপদ খাবার পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ তবে এই প্ল্যান্ট যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তার প্রতি পাড়ার সকলের দায়িত্ব রয়েছে।
এসময় বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, আমাদের এই পানির প্ল্যান্টটি ঠিকমত কাজ করলে আগামীতে এই এলাকায় আর পানির ঘাটতি থাকবে না এবং ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো এভাবে আগামীতে পার্বত্য জেলার বিভিন্নস্থানে তাদের অর্থায়নে আরো নিরাপদ পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করবে ও গরীব ও অসহায়দের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করবে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ এর অর্থায়নে বান্দরবান সদরের লাঙ্গিপাড়ায় এই নিরাপদ খাবার পানির প্ল্যান্টটি তৈরি করা হয়েছে এবং এই প্ল্যান্ট এর মাধ্যমে এলাকার জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা অনেকাংশে মেটানো সম্ভব হলে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।