অবহেলিত নারী ও শিশু উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী পূর্ণিমা বড়ুয়া

রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচন

540

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে জেলা মহিলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পূর্ণিমা বড়ুয়া নির্বাচনে লড়বেন। তিনি পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বী করবেন।

রাঙামটি পৌরসভার নির্বাচনে নারীদের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের মাঠে ভোট চাইতে নেমেছেন রাঙামাটি পৌরসভার ৭, ৮ও ৯নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী পূর্নিমা বড়–য়া।

পৌরসভা নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে আরো যারা রয়েছেন তারা হলেন- বর্তমান মহিলা কাউন্সিলর জুবাইতুন নাহার জেবু, প্রঞ্জা জ্যোতি চাকমা, সীমা দেওয়ান, মনিকা আক্তার মনি, মুক্তা আক্তার পিংকি ও বাবলী ইয়াছমিন।

তিনি জানান, রাঙামাটি পৌর এলাকার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, দুঃস্থ নারীদের নানা সমস্যা উত্তোরণ নানা সমস্যাকে প্রাদান্য দিয়ে নারীর উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবেন ও দোয়া চাইছেন। পূর্ণিমা বড়–য়া বলেন, এলাকার বেশির ভাগ একটি অংশ দরিদ্র ও অশিক্ষিত। এলাকায় যৌতুক, বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা খুব বেশি। এখান থেকে এসব সমস্যা দূর করতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।

তিনি আজ (২৬ জানুয়ারী ২১) নির্বাচনী অঙ্গিকার গ্রহন হিসেবে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদক কে এসব কথা বলেন।

তিনি নারীদের অগ্রাধিকার দিবেন জানিয়ে বলেন, দুস্থ নারীদের জন্য কাজ বরবো। অনেক সময় সালিশ বৈঠকে পুরুদের প্রভাবের কাছে অসহায় বোধ করেন নারীরা। এই বৈষম্য দূর করে নারীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার দুঃস্থ নারীদের জন্য অনেক কাজ করেছি, তাদের আরও সেবা করতে এবারও নির্বাচন করছি।

৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই পদপ্রার্থী আরো জানান, আমি বিজয়ী হতে পারলে নারী সমাজের নিরক্ষরতা দূরিকরণ ও পুঁজি গঠনের লক্ষ্যে সঞ্চয়ে দুঃস্থ নারীদের উদ্বুদ্ধ করব। দুঃস্থ নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহন করার চেষ্টা করবেন বলেও তিনি জানান।

এবার রাঙামাটি পৌরসভার ৭, ৮, ও ৯নং মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ০৭ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।