নানিয়ারচর প্রতিনিধিঃ-বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ পুলিশের নিকট হতে সারা বছরই ইতিবাচক পুলিশিং এর প্রত্যাশা করে থাকে। জনগণের প্রত্যাশা আমাদের দেশে পুলিশিং ব্যবস্থায় এমন কালচার তৈরি করা হবে যেখানে প্রত্যেক সদস্য আধুনিক ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় জনমুখী পুলিশিং এর চর্চা করবে এবং ফলশ্রুতিতে সেখানে জবাবদিহীতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে। সেই জবাবদিহীতা ও দায়বদ্ধতা থেকে রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমান থানায় যোগদানের প্রায় আট মাসের মধ্যে নিজের সততা, মেধা, বিচক্ষণতা কর্মদক্ষতা ও মানবিকতার মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলার শান্তিকামী মানুষের মন জয় ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি থানায় যোগদানের পরপরই প্রকাশ্য উপজেলা মাসিক সভার বক্তব্য বলেন থানাকে সর্বপ্রথম ঘুষ ও দালাল মুক্ত, সাধারন মানুষের জন্য পুলিশি সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মানবিক গুণসম্পন্ন বড় মনের অফিসার, যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। ঝিনুকের মধ্যে যেমন মুক্তা থাকে, তেমনি কিছু মানবহিতৈষী সাদা মনের মানুষও পুলিশ বাহিনীতে আছে। তেমনি একজন মানবহিতৈষী সাদা মনের পুলিশ অফিসার হলেন নানয়িারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমান।
মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার, এ শ্লোগানকে সামনে রেখে তার নেতৃত্বে দিনরাত মানুষের সেবা নিশ্চিত করে চলেছে নানিয়ারচর থানা। তিনি আইজপি ও পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক মাদক কার্বারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের দমন, জুন জুলাই মাসে যখন আনারসের রাজধানী নানিয়ারচর এ আররসের মৌসুম তিনি প্রায় ০৫ টন ফরমালিনযুক্ত আনারস ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস করেন, থানার আশ পাশে সবজি বাগান প্রকল্প, বৃক্ষরোপন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন জনকল্যানমূখী কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সম্মুখযোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশের ত্যাগ, মানবিকতা কাজ দেখে জনগণ বিমোহিত। এছাড়াও নানিয়ারচরের ইসলাম্পুর অধিবাসী মোঃ-বশির মিয়া এর চোরাইকৃত ৪টি গরু উদ্ধার করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ বশির মিয়া জানান, নানিয়ারচর থানার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ ওসি স্যারের চৌকস তৎপরতায় আমি আমার পোষা গরু গুলো চোরাই থেকে ফিরে পেয়েছি।
এছাড়াও বর্তমানে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের ফলে নানিয়ারচর থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের লোক জন ও নানিয়ারচর থানায় সমস্যা সমাধানের জন্য আসতে লক্ষ্য করা যায়, যা আগে ছিল খুবই কম।
এলাকার বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা জানান প্রতিটি গ্রামে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জিডি ও মামলা করতে এখন নানিয়ারচর থানায় কোন অর্থ লাগে না। ওসির সততা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, জুলুমবাজ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাই মানুষের মুখে শোনা যায় তার প্রশংসার কথা। নানিয়ারচর উপজেলার সাধারণ নাগরিকরা বলেন দেশের প্রতিটি থানার ওসি যদি নানিয়ারচর থানার ওসি সাব্বির রহমানের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তাহলে মাদক, চোরাচালান, ঘুষ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত এই দেশ হতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি কাজ করে যাচ্ছে দায়িত্ববোধের সাথে, যা মানুষকে ভালোবাসার এক অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ। এজন্য তিনি ‘সাদা মনের’ পুলিশ হিসেবে ইতোমধ্যে নানিয়ারচর উপজেলার সবার কাছে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।