থানচি সদর হতে ছাংদাক পাড়া রাস্তার উপর ২টি কালভার্ট সেতুটি মেরামতের এক বছরে ৩ বার ফাঁটল

208

থানচি প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানে থানচি সদর হতে ছাংদাক পাড়া যাওয়ার রাস্তায় উপর একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এক সাথে ২টি কালভার্ট সেতুটি গত এক বছরের ৩বার ফাঁটল হয়ে গত তিন মাস ধরে মেরামত বা সংস্কারের সংশ্লিষ্টরা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। উপজেলার অভ্যন্তরীনভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়া যানচলাচলে বিগ্ন ধরার জুমের ফসল, কাঁচা মালামাল, ফলজ্য বনজ্য দ্রব্যাদি পরিবহনের চরম দূর্বোগ পোহাইতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
উপজেলা সদর হতে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে ছাংদাক পাড়া যাওয়ার রাস্তা উপর কয়েকটি কালভার্ট সেতুতে নির্মানের সময় স্থানীয় বালির পাথর ব্যবহারের কারনে গত এক বছরে ৩বার বিশাল গর্ত ও ফাঁটল ধরেছে। এ রাস্তায় এবং কালভার্ট সেতু দিয়ে জিনিংঅংপাড়া, শাহজাহান পাড়া, তংক্ষ্যং পাড়া, হাবরু হেডম্যান পাড়া, ছাংদাক পাড়াসহ অর্ধশতাধিক পাড়াবাসী যাতায়াত করেন।
কালভার্ট সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়াই দৈনিক ৫ শতাধিক জনসাধারন ও জুমিয়াদের জুম ও ফলজ্য বনজ্য বাগানের উদ্পাদিত ফসল পরিবহনের সুযোগ না থাকায় জুম ও ফলজ্য বনজ্য বাগানে উৎপাদিত ফসল আম, কাজুবাদাম, মার্ফা, আদা, হলুদ, কলা ইত্যাদি বাজারজাত করতে না পাড়ায় ঐ সব উৎপাদিত ফসল গুলি পঁচন ধরেছে। অপরদিকে উপজেলা সদর হতে অভ্যন্তরীন যোগাযোগে জনদর্ভোগে পৌহাইতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ভারী যানবহন চলাচল কারনে কালভার্ট সেতুটি ভেঙ্গেঁ পড়েছে। কিন্তু সংস্কারের জন্য অনেকবার বলা হলেও সংশ্লিষ্ঠরা আমাদের কথা কেউ কর্নপাঠ করেন না। সদর ইউপি মহিলা সদস্যা ডলিচিং মারমা বলেন, গত ২০১৯ সালে কয়েকটি সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রথম ফাঁটল ধরা সময়ের আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদেশে সংস্কার করা হয়েছিল। ফের তৃতীয় দফা ফাঁটল ধরলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে মালিক প্রভাবশালী হওয়া আমরা বলতে ভিশন ভয় পাই। পথচারী চামলো ¤্রাে বলেন, আমাদের কৃষি খাতে উৎপাদিত ফসল এই সেতুটি কারনে পঁচন ধরেছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ এমন নাজুক অবস্থা রেখেছে কি বলবো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
থানচি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও)এর সূত্রে জানা যায়, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে অর্থায়নের উপজেলা সদর হতে ছাংদাক পাড়া যাওয়ার রাস্তার উপর গত কয়েক বছর মধ্যে ৩টি কালভার্ট সেতু নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটিতে ২৭ লক্ষ টাকা করে মোট ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। নির্মানের অক্রুটিপূর্ণভাবে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ঠ অধিদপ্তরে বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। যে কালভার্ট সেতুটি ফাঁটল ধরেছে সেটি জনসংহতি সমিটি প্রভাবশালী নেতা ও যুব সমিতি সভাপতি নুমংপ্রু মারমা (টাইগার) ঠিকাদারকে বাস্তবায়নে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানান গেচ্ছে ঔ ঠিকাদার একাধারে ২০১৯-২০ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নের প্রায় কোটি টাকা উপরে ছাংদাক পাড়া বৌদ্ধ বিহার ভবন নির্মান, বিদ্যামনি পাড়া গীর্জা ভবন নির্মান, থানচি রেষ্ট হাউজ হতে বাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মানসহ বহু নির্মান কাজের স্থানীয় বালির পাথর, পুরোনো রড, সিমেন্ট ব্যবহার করেই যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকা সুশিল সমাজের কয়েকজন জানান, পরিকল্পিতভাবে ঔ সিন্ডিকেট ঠিকাদার সংস্থা বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন সাফল্য অর্জনকে সংকটে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে অভিমত ব্যত্ত করেন। যোগাযোগ করা হলে পিআইও মোঃ তারিকুল ইসলাম, মুঠোফোনে ০১৭২৪৮৯৬২৩৪ থেকে বলেন, ঔ কালভার্ট সেতুটিতে কয়েকবার ফাঁটল ধরা সম্বন্দে আমি অবগত নয়, সাংবাদিক সাহেব অবগত করছেন আমি শুনেছি।