নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে পাহাড়ের অনেক ঘটনায় নারী কিশোরী সহিংসতার শিকার হয়েছে। সচেতনতা হলে হয়তো এসব ঘটনা এড়ানো যেত। কিশোরী ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য, নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে সবাইকে সচেতন হবে। পড়ুয়া মেয়েদের স্কুল কলেজের যাতায়াতের পথ ও নারীদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথটি নিরাপদ করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। কুসংস্কার ও ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে মাসিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিশোরীদের সচেতনতা তৈরি করেত হবে। পাহাড়ে সুস্থ নারী, সুস্থ মা হওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পুরণে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত ‘আমাদের জীবন আমাদের স্বাস্থ্য আমাদের ভবিষ্যত’ শীর্ষক চলমান প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ বিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তির পর অনেক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজ করে যাচ্ছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বিভিন্ন দিকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। এ সচেতনতা পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে। তিনি পাহাড়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
বিএনপিএস প্রকল্প ব্যাবস্থাপক সঞ্চয় মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাথোয়াই প্রু মারমা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নীতিশ চাকমা, রাঙ্গামাটি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের উপ পরিচালক শাহ নেওয়াজ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসেনে আরা বেগম।
আলোচনা সভা শুরু আগে প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপিএস এর মাস্টার ট্রেনার রিমি চাকমা। সভায় জানানো হয় ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ও সিমাভি ন্যাডারল্যন্ডের অর্থায়নে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বিএনপিএসের সহায়তায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেসিভ লিড এনজিও হিসেবে কাজ করছে। তার অধীনে সহযোগী সংস্থা হিসেবে হিল ফ্লাওয়ার, উইভ, টংগ্যা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই, জুরাছড়ি, বরকল, রাঙ্গামাটি সদর, বাঘাইছড়ি, নানিয়াচর, কাউখালী ও রাজস্থলী উপজেলায় আমাদের জীবন আমাদের স্বাস্থ্য আমাদের ভবিষ্যত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকেল্পর আওতায় ৯টি উপজেলায় ৩০০টি গার্লস ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব ক্লাবে কিশোরী ও নারীদের নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য, মাসিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ১২ হাজার কিশোরী ও নারী সুবিধা ভোগ করছে।