পান চাষে সম্ভাবনাময় দীঘিনালাঃ ৩ উপজেলার পানের চাহিদা পূরণ

377

সোহেল রানা, দীঘিনালাঃ-সামাজিক যে কোন আচার অনুষ্ঠানে পান ছাড়া চলে না। পান নিয়ে অনেক গানও গাইছেন শিল্পিরা আর সেই পান খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সময় সমতল থেকে পান নিয়ে আসত পাইকারী ব্যবসায়ীরা। এখন দীঘিনালায় উৎপদিত পান দিয়ে স্থানীয় চাহিদা পূরন করে পার্শ্ববর্তী আরো তিনটি উপজেলা রাঙ্গামাটির জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি (মারিশ্যা) ও খাগড়াছড়ির সদরেও পানের চাহিদা পূরন হচ্ছে এবং পানের গুনগত মান ভাল হওয়ার কারনে অনেক সময় সমতলেও নিয়ে যাচ্ছে পাইকারী ব্যবসায়ীরা। কৃষি অফিসের ত্বদারকি ও নজদারি থাকলে এক সময় পান চাষে দীঘিনালা হতে পারে সম্ভবনাময় উপজেলা। উপজেলায় বেশিভাগ পান চাষ হয় বোয়ালখালী, দীঘিনালা ও বাবুছড়া ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় উপজাতীরা এ পান চাষ করে থাকে।
দীঘিনালা ইউনিয়নের বড়াদম এলাকার পান চাষি নজর চাকমা (৩৫) জানান, ধান চাষে লাভ কম হয়, তাই নিজ উদেগ্যে ১ একক ধানের জমিতে পান চাষ শুরু করি এবারের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কোন প্রশিক্ষন পাই নাই এবং কী পান চাষ সম্পর্কে কোন ধারনা দেয়নি নিজের উদ্যেগে পান চাষ করছি। উৎপাদিত পান স্থানীয় বাজারের বিক্রি করি অনেক সময় পাইকারী ব্যবসায়ীরা পানের বরজে এসে পান কিনে নিয়ে যায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ত্বদারকি থাকলে পান চাষে এই উপজেলা সম্ভবনাময় হবে এই পান স্থানীয় চাহিদা পূরন করে উপজেলা থেকে পান সমতলে রপতানি করা সম্ভব হবে।
উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী সুপন চাকমা পান চাষ সম্পর্কে বলেন, কৃষি অধিদপ্তর থেকে শুধু পরামর্শ প্রদান করা হয়। চাষিরা নিজ উদ্দেগ্যে পান চাষ করে পানে রোগবালাই সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়। আর্থিক ভাবে কোন সহায়তা দেয়া হয় না, তবে দীঘিনালায় প্রচুর পান চাষের সম্ভবনা রয়েছে। তামাকের বিকল্প হিসেবে পান চাষ করে চাষিরা সফল হতে পারে।
উপজেলা পান ব্যবসায়ী পরিমল দে ও বাবুল দে জানান, আগে আমরা সমতল থেকে পান আমদানি করাতাম এখন আর সমতল থেকে পান আমদানি করতে হয় না। দীঘনালায় প্রচুর পান চাষ হয় স্থানীয় বাজারের খুচরা ক্রেতাদের চাহিদা পূরন করে পার্শ্ববর্তী ৩টি উপজেলা পান রপতানি করা হচ্ছে। এই ধারাবাহীগতা ধরে হলে পান চাষে চাষিদের উদ্ধুক্ত করতে হবে স্থানীয় ভাবে প্রচুর বাজার সৃষ্টি করতে হবে।