পর্যটকদের এখন সরব উপস্থিতি হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙ্গামাটিতে

491

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-করোনার কারণে দীর্ঘ ৫মাস বন্ধ কাটিয়ে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে নয়নাভিরাম কাপ্তাই হ্রদ আর পাহাড়ের শহর রাঙ্গামাটি। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেই ছুটে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা।
পাহাড়ের নৈসর্গিক পরিবেশ, কাপ্তাই লেক আর পাহাড়ী ঝর্ণার জন্য রাঙ্গামাটি শহর দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষনীয়। পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজ, সুবলং ঝর্ণা, আরণ্যক রির্সোট, পলওয়েল ইকো পার্ক ও রাঙ্গামাটি পার্ক পর্যটকদের জন্য অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। করোনার কারনে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর এ সপ্তাহে খুলে দেয়া হয়েছে রাঙ্গামাটির এ সব পর্যটন কেন্দ্র। তাই মানুষের জীবন যাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় পর্যটকদের এখন সরব উপস্থিতি লেক পাহাড়ের শহর রাঙ্গামাটিতে।
করোনা পরবর্তী সময়ে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে রাঙ্গামাটি ছুটে যাচ্ছেন পযর্টকরা। উচুঁ নিচু পাহাড় আর কৃত্রিম লেক ঘিরে রাঙ্গামাটিতে অন্তত ৮টি ঝর্ণা রয়েছে। এর মধ্যে সুবলংয়ের শিলার ডাক নামে দুটি ঝর্ণা সত্যিই আকর্ষনীয়। এর মধ্যে যে ঝর্ণাটিতে প্রায় ৩০০ ফুটু উঁচু থেকে জলাধারার অবিরাম পতন হয় তা দেখার জন্য ছুটে আসছেন দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা। ঝর্ণায় পাহাড়ের বুক চিড়ে জলধারার অবিরাম পতনের অপরূপ দৃশ্য দেখে পর্যটকরা বেশ খুশী।
সুবলং শিলার ডাক ঝর্ণা তত্বাবধায়ক শিলা চাকমা জানান, রাঙ্গামাটি শহর থেকে দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে পৌনে এক ঘন্টায় যাওয়া যায় সুবলয়ের ঝর্ণায়। বৃষ্টি কমে আসায় সুবলংয়ের উচুঁ ঝর্ণায় পানি কিছু কম হলেও আশেপাশের আরো আরো যেসব ঝর্ণা আছে এগুলো এখনো জীবন্ত রয়েছে। রাঙ্গামাটি যারা ঘুরতে আসেন তারা সুবলং ঝর্ণা না দেখে ফেরেননা।
এব্যাপারে রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, রাঙ্গামাটি পর্যটন খুলে দেয়ার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বেশ খুশি। আর পর্যটন খুলে দেয়ার কারণে অনেকেই আসছেন এখানে। তবে আগের মতো বাসে করে যে ভাবে আসতো সেই ভাবে আসছে না। হালকা কিছু পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারাই ঘুরতে আসছে বিশেষ করে। তবে যারা বেড়াতে আসছেন তাদের সরকারের দেয়া স্বাস্থ্য বিধি অনুসারে বাধ্যমূলক মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করে পর্যটনের কার্যাক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে মানুষের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হলে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের উপস্থিতি আরো বাড়বে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।