কাপ্তাইয়ে ঘরের ভেতর দূর্লভ প্রজাতির সাপ, ভয়ে পিটিয়ে মারলো জনগণ

520

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাইঃ-কাপ্তাইয়ে ঘরের ভেতর একটি দুর্লভ প্রজাতির সাপ ঢুকে পড়ে। সাপটি লম্বায় ছিল প্রায় ৮ ফুট। সাপের মাথার অংশ হালকা লাল। সাপের গলা থেকে পেটের আগ পর্যন্ত লম্বা কালো হালকা হলুদ ও ধুসর রঙের। পেটের নিচ থেকে লেজ পর্যন্ত ধুসর রঙের। সাধারনত এরকম সাপ কাপ্তাইয়ে এর আগে আর কেউ দেখেননি বলে জানা গেছে। তবে সাপটিকে ঘরের ভেতর দেখে সবাই ভয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে কাপ্তাই উপজেলার পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর একটি বাসায়।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাফ হোসেন তাঁর এলাকায় একটি ঘরে বিশাল একটি সাপ ঢুকে পড়লে পরিবারের লোকজন ভয়ে চিৎকার ও চেচামেচি শুরু করেন বলে জানান। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন লাঠি নিয়ে ঘরে ঢুকে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তবে এটি কোন প্রজাতির সাপ বা এর পরিচয় কি, তাৎক্ষনিকভাবে তা কেউ জানাতে পারেননি। তবে এরকম সাপ এর আগে এলাকায় কেউ দেখেন নি বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে পাহাড়ী এলাকায় এই সাপের আরেকটি সঙ্গী থাকতে পারে। দূর্লভ প্রজাতির এই সাপটিও এভাবে কারো বাসাবাড়ি বা লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। আর সাপটি দেখলেই স্থানীয় লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এটিকে মেরে পেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
চন্দ্রঘোনায় অবস্থানকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাজী সাইফ হোসেন জানান, সাপটি আকারে অনেক লম্বা হলেও এটি বিশাক্ত কোনো সাপ নয়। এরা মূলত ইঁদুর ধরে খায়। আমাদের দেশে এরকম সাপ সচরাচর দেখা যায়না। এরকম একটি সাপ মেরো ফেলা কোনো ভাবেই ভালো হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে সাপের যে সঙ্গী রয়েছে সে যাতে নিরাপদে বেঁচে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কাজী সাইফ হোসেন স্থানীয় বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের সহযোগিতা নেওয়ার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।