কাপ্তাইয়ের বিনোদন কেন্দ্র প্যানোরমা জুম রেস্তোরা ও পিকনিক স্পট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত

2436

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাইঃ-কাপ্তাই চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এবং কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে নয়নাভিরাম পরিবেশে অবস্থিত কাপ্তাই উপজেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ‘প্যানোরামা জুম রেস্তোরা এন্ড পিকনিক স্পট’ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাাসের কারণে এই বিনোদন কেন্দ্র দীর্ঘ ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল। প্যানোরামা জুম রেস্তোরা এন্ড পিকনিক স্পট ভ্রমণ করতে এতদিন মানুষ ব্যাকুল ছিলেন। অবশেষে মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবং করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় বিনোদন কেন্দ্রটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো বলে জানা গেছে।
জুম রেস্তোরা এন্ড পিকনিক স্পটের ম্যানেজার জানান, পর্যটকরা এখন প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবার পরিজন নিয়ে আগেরমতো স্বাভাবিকভাবে জুমে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্যও জুম কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, প্যানোরামা জুম রেস্তোরা এন্ড পিকনিক স্পটে বিনোদনের জন্য সব রকম ব্যবস্থাই প্রস্তুত রয়েছে। জুমে বেড়াতে এসে ইঞ্জিন বোটে চড়ে অনায়াসে কর্ণফুলী নদীতে নৌ ভ্রমণ করা যাবে। কায়াকে চড়তে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে আকর্ষনীয় ও নিরাপদ কায়াক বোর্ড। বৃহত্তর তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে শুধুমাত্র জুমেই রয়েছে বিনোদনের জন্য ইঞ্জিন চালিত ট্রেন। আকর্ষনীয় এই ট্রেন ভ্রমণ নারী পুরুষ শিশু কিশোর সবাইকে আকৃষ্ট করবে। দোলনায় দোল খাওয়া ও চরকায় চড়ার বাড়তি আনন্দ পাবে শিশু ও কিশোররা। জুমের চতুর্দিকে সারি সারি অসংখ্য গাছের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে গোল ঘর এবং বসার জন্য সুব্যবস্থা। মিনি চিড়িয়াখায় বানরের নাচানাচি দাপাদাপিতো আছেই। সৌখিন মাছ শিকারীদের জন্য রয়েছে বর্ষী দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা। এই সব কিছুই পর্যটকদের জন্য। সম্পুর্ণ নিরাপদ এই বিনোদন কেন্দ্র প্যানোরামা জুম রেস্তোরা এন্ড পিকনিক স্পটে আরো রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ। পর্যটকরা এখানে নিরাপদে রাত্রী যাপনও করতে পারবেন।
বিনোদন কেন্দ্র জুমে সারাক্ষণ শুধু ঘুরে বেড়ালে আর আনন্দ করলে পেট ভরবে? পর্যটকদের জন্য জুম কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থাও রেখেছেন। এখানে স্বল্প মূল্যে সুস্বাদু এবং মুখরোচক মধ্যাহ্ন ও নৈশ ভোজেরও ব্যবস্থা আছে। অর্ডার অনুযায়ী যে কোন খাবার পরিবেশন করা হয় জুমে।
এছাড়াও চা, কফি, গ্রীল, বসনিয়া রুটি, চটপটি, ফুসকা, চিকেন ফ্রাই, চিকেন সমুচা সবই এখানে পাওয়া যাবে। একা একা, পরিবার পরিজন নিয়ে অথবা দল বেঁধে যেভাবেই এখানে আসবেন আপনার মন ফুরফুরা হয়ে যাবে। এখানে রয়েছে একসাথে দুই হাজারেরও অধিক জনসাধারণের পিকনিক করার ব্যবস্থা। রয়েছে নাচ গান করার জন্য সাংস্কৃতিক মঞ্চ। নামাজ পড়ার সু-ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। পুনরায় চালু হবার পর থেকে জুমে ভ্রমণ করার জন্য দুর দুরান্ত থেকে পর্যটকরা আশা শুরু করেছেন। অনেকে অগ্রিম স্পট বুকিং করছেন। আবার কেউ কেউ কটেজ বুকিং করার জন্যও যোগাযোগ করছেন বলে সুত্রে জানা গেছে।