পার্বত্য চট্টগ্রামেও সফল ব্রি হাইব্রিড ধান-৫, হেক্টর প্রতি উৎপাদন ৯ মেট্রিক টন

518

কাউখালী প্রতিনিধিঃ-অন্যান্য ধানের জাত হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ ফলন হয় ছয় থেকে সাত মেট্রিক টন। অথচ ‘ব্রি হাইব্রিড ধান-৫’ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৯ মেট্রিক টন। স্থানভেদে প্রতি হেক্টরে দুই থেকে তিন মেট্রিক টন বেশি ফলন এসেছে। আর তাতেই সোনালী ধানের সাথে খুশির বান এসেছে কৃষকের আঙিনায়।
আশাজাগানিয়া এ ধান চাষে সারথি হতে এখন অন্য কৃষকেরাও প্রলুব্ধ হচ্ছেন। কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসের ‘পরীক্ষামূলক’ চাষে এমন সাফল্য ধরা দিয়েছে। এর মধ্যদিয়ে পাহাড়েও দারুণ ভাবে সফল হয়েছে ব্রি হাইব্রিড ধান-৫।
সোমবার (১৮ মে) কাউখালী উপজেলা সদরের পোয়াপাড়া শস্যমাঠ সরেজমিন ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ এর নমুনা শস্য কর্তন উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এপর্যন্ত ১০০টি ধানের নতুন জাত অবমুক্ত করেছে। এর মধ্যে ৯৫টি ‘ইনব্রিড’ এবং পাঁচটি ‘হাইব্রিড’। ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ হচ্ছে সর্বশেষ আবিস্কৃত বোরো ধানের জাত। ‘পিতৃ মাতৃ সারি’ দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত হওয়ায় জাতটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ১৪৪ দিনের জীবনকালেই পাওয়া যায় ফলনও।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কৃষি বিভাগ সাহস দেওয়ায় এই হাইব্রিড ধান চাষ করেছি। এখনতো আমারই লাভ হলো বেশি। ফলন বেশি, অনেক খুশি লাগছে’। আরেক কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘খরচ আর পরিশ্রমের সাথে ধানের ফলনে মাঝে মাঝেই চিন্তায় পড়ি। কিন্তু এ হাইব্রিড ধান বুকে সাহস দিচ্ছে। রিস্ক নাই, লাভও অনেক বেশি। অন্য চাষীরাও এখন আগ্রহ দেখাচ্ছে’।
অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত সারাদেশে এ জাতটি ছড়িয়ে দিতেই পাহাড়েও পরীক্ষমূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। আর তাতেই মিলেছে এ সাফল্য। পাহাড়ের আবহাওয়াতেও এ ধান স্বাচ্ছন্দ্য’।
নমুনা শস্য কর্তন উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান ইমরান, তৈয়বনূর ও গোলাম মাওলাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।