নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-শেষ পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে ৪জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি সির্ভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, গত ২৯ এপ্রিল তাদের নমুনার রিপোর্ট চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজেজেজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছিল।
এর মধ্যে বুধবার (৬ মে) দুপুরে এই চার জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানানো হয়েছে। এই চারজন রোগী মধ্যে, রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকার বাসিন্দা জারিফ হোসাইন (০৯ মাস), দেবাশীষ নগর এলাকা বাসিন্দা সৌরভ বড়ুয়া ( ১৯) এবং বাকী দুজন সদর হাসপাতাল এলাকার কামরুনাহার (৩৮) মো: ঈসাক (৫০) মোল্লা পাড়া হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা বলে জানান রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন।
এর মধ্যে ৯ মাসের শিশু একজন, ১৯ বছরের যুবক, ৩৮ বছরের নারী ও ৫০ বছর বয়সী পুরুষ। এরা চার জনই রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয় নিয়ে জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। আক্রান্তদের সাথে যারা সংস্পর্শে এসেছেন তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যাতে করে শহরে করোনার সংক্রমন বাড়তে না পারে।
এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেখানে অবস্থায় থাকে সেই এলাকা লকডাইন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের নমুনা আবারো চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ পর তাদের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলায় করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সনাক্তদের বাড়ি লকডাইন করার প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান এনডিসি উত্তম কুমার দাশ।
অন্যদিকে, রাঙ্গামাটি জেলায় ২০০৫ জনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ১৫৩৮ জন। বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪৬৭ জন।
বুধবার (৬ মে) রাঙ্গামাটি করোনার দায়িত্ব প্রাপ্ত ফোকাল পারসন ডাক্তার মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, সকাল ৮টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জায়গায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৩৭৬। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে রয়েছে ৬২৯ জন। এছাড়া ১৫৩৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছে বলেও জানান তিনি। আইসোলেশনে কোন রোগী এখনো পর্যন্ত নেই।
এদিকে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা জানান, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজেজেজে (বিআইটিআইডি) ২৭০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৮ জনের নমুনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাকি ৭২ জনের নমুনার রিপোর্ট এখনো আসেনি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার পর সর্বশেষ জেলা হলো রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। এই নিয়ে দেশের ৬৪ জেলাটি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লো।