কাউখালীতে বাড়িতে বাড়ীতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ইউএনও-ওসি

742

জসিম উদ্দিন, কাউখালীঃ-প্রানঘাতি নভেল করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রভাবে কাউখালীতে বিপাকে পড়েছে ঘরবন্দি সাধারন মানুষ। ফলে অর্থের অভাবে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের বাড়িতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। আর এ সংকট নিরসনে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন কাউখালী উপজেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে তিনটি ধাপে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে সরকারী, রাঙ্গামাটি পাবত্য জেলা পরিষদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আর্থিক সহযোগিতায় চার হাজারেরও বেশি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এর আওতায় যারা বাদ পড়েছেন প্রকৃতপক্ষে যাদের খাদ্যের প্রয়োজনে থানার ওসি ও ইউএনও’কে ফোন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়কদিন ধরে ফোন পেয়েই বাড়িতে বাড়ীতে গিয়ে অসহায় মানুষদের খাবার পৌছে দিচ্ছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শতরূপা তালুকদার ও কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ পিপিএম।
কাউখালী উপজেলা মুসলীম পাড়া এলাকার বাসিন্দা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী সেলিনা আক্তার লিপা জানান, ফেসবুকে দেখতে পাই খাদ্য সংকট থাকলে ‘হ্যালো ওসি কাউখালী’ ফেসবুক আইডি থেকে ওসি বা ইউএনও’কে ফোন করতে বলা হয়। আমি ইউএনওকে শুক্রবার সকালে আমার বাসার ভাড়াটিয়া কয়েকজন খাদ্য সংকটে আছে জানায়। ইউএনও স্যার বিকেলেই খাদ্য দিয়ে চলে আসেন আমাদের বাড়াটিয়ার বাসায়। বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেখেছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনসহ এর পেছনে যারা কাজ করছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচাজ মো. শহিদ উল্লাহ পিপিএম জানান, কাউখালী থানা ও উপজেলা প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় করোনা প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে রাখতে, সচেতন করতে, কিছুক্ষণ পরপর হাত ধৌত করতে প্রচারণাসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত আছে। এসময় কেউ যাতে খাদ্য সংকটে না থাকে সে জন্য ওসি এবং ইউএনও’র মোবাইল নম্বর প্রচার করা হয়েছে।
ওসি জানান, যারাই ফোন করছে ইউএনও স্যার এবং আমি বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌছে দিচ্ছি। এছাড়া মধ্যবিত্ত যদি কেউ খাদ্য সংকট থাকেন তাহলে যাতে ০১৫৫৭৬৭৬২১৬/০১৭৬৯৬৯০১৯৯ ফোন করেন। প্রয়োজনে পরিচয় গোপন রেখে বাড়িতে খাবার পৌছে দিব। তবুও আপনার সকলে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করুন।
কাউখালী উপজেলা নিবাহী অফিসার শতরূপা তালুকদার জানিয়েছেন তাদের এ কাযক্রম অবাহত থাকবে। তিনি জানান একজন মানুষও যেন খাদ্য সংকটে না পড়েন সেদিকে সব্বোচ্য সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকার ভিত্তশালীদেরও এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন এবং কেউ খাদ্য সংকটে থাকলে তা তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।