করোনা আতঙ্কে রাস্তা ফাঁকাঃ নাইক্ষ্যংছড়িতে লক ডাউন ঘোষণার পর পুলিশের তৎপর

191

নাইক্ষ্যংছড়িঃ-বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ভাইরাস আতঙ্কে সম্ভাব্য সংক্রমণ বিস্তার রোধে লক ডাউন জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এই জারি কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী বদ্ধ পরিকর।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় প্রশাসনের উদ্যোগে গভীর রাত পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে সচেতনতামূলক মাইকিং প্রচারণায় ‘লক ডাউন’ কি, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কি করা প্রয়োজন সেই নিয়ে বুঝানোর চেষ্টা চালায়।
আর এদিকে, প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার পর সদর উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে লক ডাউনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের তৎপর হয়ে উঠেছে নাইক্ষ্যংছড়ি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ।
বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সব অফিস, আদালত, বাস স্টেশন বন্ধ রয়েছে। সকাল ১০টায় ওষুধ, নিত্যপণ্য ও ভূষি মালের দোকান ব্যতীত সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা যায়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর বাজারের প্রশাসনের লক ডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে জারি করা ১০টি নির্দেশনা সাধারণ জনণকে বুঝাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ বাহিনী। এমন ঘোষণায় ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশাসনের ঘোষণা মতে ব্যাবসায়ীদের অন্য দিনের চেয়ে আজ পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় লক ডাউন ঘোষণায় ব্যাতিক্রম চিত্র দেখা যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টেইনে অবস্থানে থাকায় তার সাথে লকডাউন জারি বিষয়ে কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ইনর্চাজ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৯টায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে নাইক্ষ্যংছড়িতে লক ডাউন ঘোষণার মেসেজটি পাওয়ার সাথে সাথে সাহসিকতা নিয়ে উপজেলার জনসমাগমের রাস্তা গুলো চিহ্নিত করে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে সংযুক্ত রাস্তা গুলো। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের কার্যক্রম ছিলো প্রশংসনীয়। এলাকার সাধারণ মানুষেরা লক ডাউন বিষয়টি মোটেও বুঝে না। তারা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিষয় গুলো জানা নেই অনেকের মধ্যে। তাই এসব বিষয় গুলো সাধারণ মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হচ্ছে পুলিশের।
যতদিন এই জারি বলবত থাকবে ততদিন পুলিশ বাহিনী লক ডাউন কার্যক্রম নিয়ে মাঠে থাকবে।