বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণ বাঙালীর ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা

442

রাঙ্গামাটিঃ-ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে জেলা প্রশাসন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (৭ মার্চ) ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সকালে রাঙ্গামাটি শিশু একাডেমী মিলনায়তনে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও জাতির জনকের উপর বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এসময় ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অমূল্য দলিল। এ ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের গৌরব-সম্মান আরেকবার আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বানটি দিয়েই ক্ষান্ত হননি, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা মুক্তিকামী মানুষের কাছে লাল-সবুজ পতাকাকে মূর্তিমান করে তোলে। আর এর মাধ্যমে বাঙালীর ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, বঙ্গবন্ধুর সেই বজ্রনির্ঘোষ আজও বাঙালী জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে। মূলত রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণই ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলার মুক্তি সংগ্রামের মূল ভিত্তি।
আলোচনা সভা শেষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুমুন রশিদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শিশু কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, জেলা শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।