বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অমিত শক্তির উৎস ছিল বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ

344

লিটন ভট্টচার্য্য রানা, খাগড়াছড়িঃ-ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।
শনিবার (৭ মার্চ) সকাল আট ঘটিকার সময় খাগড়াছড়ি দলীয় অফিসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন বঙ্গবন্ধু ভাষণ মাইকে প্রচার করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর টাউন হল প্রঙ্গনে বঙ্গবন্ধু চেতনা মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন খাগড়াছড়ি জেলাআ’লীগ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।
পরে ১৯৭১ যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সহ ২ শে আগষ্ঠ ও ২০০১ সালে খাগড়াছড়ি ২১ জন নেতাকর্মীদের আন্তার শান্তি কমনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।পরে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগে সহ-সভাপতি (বীর মুক্তিযোদ্ধা) রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
আলোচনা সভার বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধু ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সং’গ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
বক্তারা আরো বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওর্য়াল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সমগ্র দেশ ও জাতি গর্বিত। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অসা¤প্রদায়িক চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছি। তিনি যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বাঙালি জাতির জন্য যে উন্নত জীবনের কথা ভেবেছিলেন, তার সেই স্বপ্নকে আজ আমরা বাস্তবে রূপ দিচ্ছি। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশ’স্ত্র মুক্তিযু’দ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অমিত শক্তির উৎস ছিল বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ আমাদের ইতিহাস এবং জাতীয় জীবনের এক অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য অধ্যায়, যার আবেদন চির অম্লান। কালজয়ী এই ভাষণ বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষকে সবসময় প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পাবর্ত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা এমপি বাসন্তি চাকমা, কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, মংক্যাচিং চৌধুরী, আব্দুল জাব্বার, এড্ আশুতোষ চাকমা, মংশিপ্রু চৌধুরী (অপু) জুয়েল চাকমা, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, শতরুপা চাকমা, পার্থ ত্রিপুরা (জুয়েল) সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল আলমসহ জেলা আওয়ামীলীগ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।