রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ সভাপতি হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার, ষড়যন্ত্র দেখছে জেলা ছাত্রলীগ

2709

স্টাফ রির্পোটার: রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ নেতা নাসির হত্যাচেষ্টা মামলায় রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মীর শাকিল কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে শহরের তবলছড়ি বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায়েছেন, রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল ইসলাম রনি। অন্যান্য আসামীদেরও ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

মীর শাকিল কে গ্রেফতারের বিষয়ে রাঙ্গমাটি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কয়েজন জন নেতার বিরুদ্ধে ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন ও যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল মতিন কে বিষয়টি সমাধান ও যাচাই-বাছাই করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।

তারই ধারাবাকিতায় গত ৭ফেব্রুয়ারী একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন ও যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুরোপুরি সমাধানের পথ সুগম না হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধায় বৈঠক করার কথা ছিলো কিন্তু তার আগেই একটি কুচক্রী মহল ও দলের বিরুদ্ধের অপশক্তি যারা দলের মধ্যে বিভক্তি চায়, তাদের বুদ্ধি ও পরামর্শে নাসিরের মা ও স্ত্রীসহ স্বজনরা মিলে মানববন্ধন কর্মর্সূচি পালন করায় বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বৈঠক করা আর সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ যুবলীগের অভ্যন্তরীণ বিষয় কিন্তু এখানে কেনো ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দদের জড়ানো হয়েছে এ বিষয়ে তিনি বোধগম্য নয়। তিনি মনে করেন ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও ছাত্রলীগের ঐক্য নষ্ট করার জন্য এটি একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। তিনি এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাদের জড়িয়ে মামলা করা এবং মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকে গ্রেফতার করায় জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

প্রসঙ্গত: গত ২৭ জানুয়ারি রাঙ্গামাটি শহরের রাঙ্গাশ্রী কমিউনিটি সেন্টারে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতা নাসিরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। নাসিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকরা তাকে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখানেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নাসির তার বাসায় আছেন। হামলা ঘটনার ৩ দিন পর ৩০ জানুয়ারি কোতয়ালি থানায় নাসিরের স্ত্রী সালেহা আক্তারের তার স্বামীকে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে। এই মামলায় জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮ জন নেতাকর্মীকে আসামী করেন করা হয়। মামলা দায়ের করার ১২ দিনেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে আহত নাসিরের মা,স্ত্রী,সন্তান ও ভাইবোনসহ পরিবারের সদস্যরা। হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর আজ ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার ৫ নং অভিযুক্ত মীর শাকিল কে গ্রেফতার করে পুলিশ।