খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ স্বতন্ত্র ও স্বগৌরবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে-ফয়জুর রহমান

465

খাগড়াছড়িঃ-খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মাঠে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়জুর রহমান। এসময় কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্লেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পিটু উপস্থিত ছিলেন।
স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন হাউস ভিত্তিক দলের কুচকাওয়াজের পর ছোট ছোট সোনামনিদের দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হয় ক্রীড়া প্রতিযোগতা। এছাড়াও ছাত্রীদের ভারসাম্য দৌড়, ছাত্র ও ছাত্রীদের রিলে দৌড় ছিল উপভোগ্য। এছাড়াও মহিলা অভিভাকদের বালিক খেলা ও শিক্ষক এবং পুুরুষ অভিভাবকদের রশি টানাটানীকে ঘিরে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে পুরো মাঠ।
এছাড়াও কারাতে ডিসপ্লে, ফিজিক্যাল ডিসপ্লে এবং মিউজিকেল ডিসপ্লে ছিল অত্যান্ত উপভোগ্য।
বালকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদের হয়েছে মোঃ মারুফুজ্জামান (সামি) এবং বালিকাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হয়েছে পুষ্পিতা চাকমা। দিনভর খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন হয় জসিম উদ্দিন হাউস এবং রানার আপ হয় নজরুল ইসলাম হাউস। বিজয়ীদের মাঠে পুরস্কার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়জুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়জুর রহমান বলেন, খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর বসবাস। এ অঞ্চলের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বৈচিত্র্যপূর্ণ জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যে সেতু বন্ধনকে আরো এগিয়ে নিতে ২০০৫ সালে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠান তার স্বতন্ত্র ও স্বগৌরবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সফলতা নির্ভর করে এর শিক্ষা, ক্রীড়া ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের উপর। শুরু থেকেই এ প্রতিষ্ঠান লেখাপড়ার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক শিক্ষা কার্যক্রমে সমান গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আজকের এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উপস্থাপনা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এই প্রতিষ্ঠানের রবীন্দ্র, নজরুল ও জসীম উদ্দীন এ ৩টি হাউসের অসাধারণ প্যারেড এবং আবহমান বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে গাঁথা সম্মিলিত ডিসপ্লে ছিল অত্যান্ত আকর্ষনীয়।
তিনি বলেন, খেলাধুলা মন ও শরীরকে সতেজ রাখে। আত্মা পরিতোষ্টি লাভ করে। মন ভাল থাকলে পড়াশোনাও ভাল লাগে। শুধু খেলাধুলা নয়, এর পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি, বিতর্ক, বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড প্রভৃতি নানা কর্মকা-ে তোমাদের অনেক দক্ষতা অত্যন্ত প্রসংশনীয়। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।