পার্বত্যাঞ্চল উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে থাকবে না, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের ছাড় নেই-মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

455

খাগড়াছড়িঃ-দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে এ সরকারের সময়ে কোন উন্নয়ন থেকে পার্বত্যাঞ্চল পিছিয়ে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। কোন জাতি বর্ণ ভেদাভেদ নয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সেই ধারাবাহিকতা থেকে পার্বত্যাঞ্চলকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে খাগড়াছড়ির কুমিল্লা টিলা এলাকায় বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্পে আশ্রয়হীন ও গৃহহীন ৩৩ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সর্বস্তরের উন্নয়ন করে চলছে। বিএনপি সরকার চিকিৎসা বিভাগের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো বন্ধ করে দিয়ে ছিল সেই বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো আওয়ামী লীগ সরকার চালু করছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট’র অর্থায়নে তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরনে (সেক্টর) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৩৩ পরিবারের মাঝে দৃষ্টিনন্দন স্বপ্নের বাড়ির চাবি তুলে দেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি। যারা ঘরের চাবি পেয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ভূমিহীন ১১, বিধবা ৮, স্বামী পরিত্যাক্তা ৪, প্রতিবন্ধী ৭ এবং ৩ মুক্তিযোদ্ধা সহ ৩৩ পরিবারটি।
আবাস প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ফয়জুর রহমান, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাউদ্দিন প্রমুখ। পার্বত্য অঞ্চলে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি হওয়ার পরপরই খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও রাঙ্গামাটিতে বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অঞ্চলগুলোতে উন্নয়নের ফলে ৩ পার্বত্য জেলায় সকল শ্রেণির মানুষ শান্তি ভোগ করছে এবং শান্তিতে বসবাস করছে। কোনো হিংসা হানাহানি নেই। তবে কিছু কিছু আছে শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করার জন্য শান্তি চুক্তির বিরোধী একটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজি করে এই এলাকার বসবাসরত নিরোহ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং হুমকি-দমকি দিয়ে চাঁদা আদায় এবং শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সন্ত্রাসী যেই হোক থাকে ছাড় দেওয়া হবে না। মন্ত্রী বলেছেন- শান্তি চুক্তি করার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে এখানে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকল সরকারি এবং বেসরকারি ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।