উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছে-কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা.এমপি

364

লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়িঃ-খাগড়াছড়িতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও আলোচনা সভাসহ বিকেলে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব ঐতিহ্য সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারী) সকাল সাঙ্গে ১১টায় দলীয় অফিসে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা.এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বলতেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস’। বাংলা, বাঙ্গালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার সময় ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন, যা ছিল বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন বেগমান হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাহসী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের ইতিহাসে যেমনই হাজার হাজার যোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে তেমনই কিছু সংখ্যক অযোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে। যার কারণে মাঝে-মধ্যে বিতর্কিত হতে হয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গঙ্গা সংঠনটিকে। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী নেতৃত্বে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবিচল। ছাত্রলীগ সব ভুল সংশোধন করে আগামীদিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় কাজ করে গেলে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে। ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এটুকু প্রত্যাশা। পার্বত্য এলাকায় আজ শান্তি ও উন্নয়ন সব আমাদের নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় কাজ হচ্ছে।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা নুরনবী চৌধুরী, কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খগেশ্বর ত্রিপুরা, মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,ক্যজরী মারমা,জুয়েল চাকমা,পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, শিব শংকর দেব, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সনজিৎ ত্রিপুরা, সম্পাদক বিশ্বজিত রায় দাশ, যুবলীগ সভাপতি যতন ত্রিপুরা, সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা এতে অংশ নেয়।
পতাকা উত্তোলন শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেক কেটে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ঘুরে দেখেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্যরা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উৎসব মুখোর অংশ গ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।