লামার কোয়ান্টামে নবম শ্রেণীর ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ

202

লামাঃ-বান্দরবানের লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ জানুয়ারী) বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে প্রতিষ্ঠানটির সবুজায়ন ক্যাম্পাসে একটি রুমে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষ সরই পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ও লাশ উদ্ধার করে।

নিহত শিশু আজিজুল হাকিম (১৫) কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীল ছাত্র। সে মানিকগঞ্জ জেলার ঘেওর উপজেলার বানিয়াঝুঁড়ি গ্রামের আমিনুল হক ও মাহমুদা বেগম সান্তনার ছেলে।

সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মো. শফিউল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়া মাত্র সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমরা এসে লাশ ফাঁসি থেকে নামাই। লাশের গায়ে কোন আঘাত দেখা যায়নি।

প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্ত করার জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সরই এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অর্গানিয়ার এ্যাডভোকেট মো. আরিফ বলেন, শিশুটি গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তার নিজ বাড়িতে যায়। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ইং কোয়ান্টামে ফিরে আসে। সে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল না করায় হতাশা থেকে এই ঘটনা করতে পারে বলে আমরা ধারনা করছি। তার অভিভাবক তার মা মাহমুদা বেগম সান্তনাকে খবর দেয়া হয়েছে। দুপুরে সে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধূলায় অংশগ্রহণ করে।
এই ঘটনার বিষয়ে নাম প্রকাশ সত্ত্বে জনৈক ব্যক্তি বলেন, নিহত শিশু আজিজুল হাকিম এবছর কৃতিত্বের সহিত অষ্টম শ্রেণী হতে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, শিশুটির স্বভাব ও আচরণে সে খুবই নম্র ভদ্র ছিল। জানা যায়, নিহত আজিজুল হাকিম কে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের এর দায়িত্বশীল অর্গানিয়ার সালেহ আহমেদ ও সিনিয়র শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সহ ২/৩ শিক্ষক আজ অকারণে প্রচন্ড গালাগালি ও নানা নির্যাতন করে। অতঃপর বিকালে কসমো স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ক্যাম্পাস সবুজায়নে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আজিজুল হাকিম এর মৃত দেহ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রথম দিকে কোয়ান্টাম শিশু সদনের থানছি উপজেলায় একজন অনাথ পাহাড়ি মারমা শিশু কোয়ান্টাম স্কুল এন্ড কলেজের চিকিৎসা অবহেলায় মারা যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।