পাহাড়ের রক্তপাত বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টির আহ্বান চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়ের

352

শাহ আলম>> পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতি ও পাহাড়ের রক্তপাত বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টির আহ্বান করেছেন, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসবের বেইন ঘর উদ্বোধন পরবর্তী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর ঐত্যিহাসিক শান্তি পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা শান্তি-শৃঙ্খলার বজায় রেখে পাহাড়ের শান্তির জন্য চুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে কথিত তিন চারটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। বিভন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয় এসব সংগঠনের জন্য পাহাড়ে রক্তপাত হচ্ছে কিংবা শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, সংগঠন তিনটি চারটি কেন, দশ-বারোটি সংগঠন হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটু সুদৃষ্টি দিলেই এসব রক্তপাত, মারামারি, হানাহানি বন্ধ হবে বলে আমরা মনে করি।

আমি আহ্বান জানায়, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সকল কর্মকর্তা সুদৃষ্টি রাখবেন। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রেখে পাহাড়ে শান্তর জন্য সহযোগিতা করবেন।

এসময় রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমাসহ রাজ বনবিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আহ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় পূণ্যবর্তী উপাসিকা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়মে পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২দিন ব্যাপী শুরু হয়ছে বৌদ্ধদের এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ ৪৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান।

রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় চরকায় সুতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বেইন বোনা ঘর।

বেইন টানা শুরু করে সুতায় লাঙানো, সুতা সিদ্ধ ও রং করা, সুতা টিয়ানো, সুতা শুকানো, সুতা তুম করা ও নলী ভরা, বেইন টানা শুরু করে বেইন বুনা পরদিন সকাল ৬টায় পর্যন্ত এবং দুপুরে কঠিন চীবর উৎসর্গ ও দান করা হবে।