চাকুরী জাতীয়কর না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপন

625

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি : ২০১৭ সালে তিন পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় যখন বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় ঠিক তখনই ২০ ফেব্রæয়ারি এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ ঘোষণা করে বর্তমান সরকার।

এতে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়া ১২ হাজারের অধিক শিশুর শিক্ষা গ্রহন নিশ্চিত হয়। জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাঙ্গামাটিতে ৮১ টি, খাগড়াছড়িতে ৪৯ টি এবং বান্দরবানে ৮০ টি স্কুল জাতীয়করণ করা হয়।

তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয় করণ করা হলে ও শিক্ষকদের চাকুরী এখনো জাতীয় করণ না হওয়ায় বছরের পর বছর বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসব স্কুলে কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

ফলে বেতন ভাতা ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মরত এসব স্কুলের শিক্ষকরা। চার বছরের অধিক সময় ধরে বেতন ভাতা ছাড়া মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। কবে তাদের বেতন হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই বলে জানান তারা।

পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০০৯ সালে বেতন দিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়ায় উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি। তবে ২০১৪ সালে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।

পাহাড়ের দুর্গম এলাকার শিশুদের শিক্ষার হার শতভাগ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টিতে এসব বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হয়।
বিদ্যমান এসব স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের বেতনের সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইল রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা মো: খোরশেদ আলম বললেন, জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা খুব শীঘ্রই সুফল পাবেন। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য তাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো এখনো জরাজীর্ন অবস্থায় রয়ে গেছে। শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয় করণের পাশাপাশি এসব স্কুলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করাসহ বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।