টানা বষর্নে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়েছে , আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার

231

আজহার হীরা,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে টানা বষর্নের কারণে নদীনালায় দ্রুত পানি বাড়ছে। বিশেষত: পাহাড়ি বন্যায় চেঙ্গী নদীর পানি উপচে নিচু এলাকাসমূহ প্লাবিত হতে শুরু করেছে। চেঙ্গীনদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, ফুটবিল ও বটতলির নিচু এলাকায় পানি উঠায় তীরবর্তী বাসিন্দাদের অনেকেই পানিবন্ধী হয়েছেন।

এসব এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন তিনটি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে জেলা সদরে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পুরো জেলায় অন্তত ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। জেলার দীঘিনালায় মাইনী নদীতেও পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে।

দুপুরে জেলা শহরের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদশর্ন করেছেন জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম। এসময় দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন তিনি।

এদিকে মহালছড়ি কলেজের সামনে সড়কের উপর পানি উঠায় খাগড়াছড়ি সঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একটি সেতুতে পানি উঠায় পানছড়ির সাথে দুদুকছড়া এলাকার সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
টানা বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরণের কিছু ঘটেনি। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছে পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন।

এদিকে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ন স্থানে বসবাসকারি যেসব বাসিন্দারা এখনো সরে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে উঠেননি; তাদেরকে অনেকটা জোরপূর্বকভাবে সরিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩০ পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে এনে শালবনের একটি ডরমেটরিতে আনা হয়েছে। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।