চাঁদাবাজির মামলায় হাজতে ব্যবসায়ী নেতা আনোয়ার মিয়া বানু

413

নিজস্ব প্রতিবেদক: হামলা, ভাংচুরসহ চাঁদাবাজির মামলায় জেল হাজতে গেলেন রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আনোয়ার মিয়া বানু। সোমবার (৯ জুলাই) সকালে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে রাঙ্গামাটির কগনিজেন্স আদালতের বিচারক বেলাল হোসেন এই আদেশ প্রদান করেন। একই মামলায় তার পুত্র রুবেলকে ও জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত।

মামলার বিবরনে জানা যায়, শহরের রিজার্ভ বাজারের বাসিন্দা মনজুর আলম (৩২) কর্তৃক গত ৯/৬/২০১৯ ইং তারিখে রাঙ্গামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দন্ড বিধি ৪৪৭/৩৮৬/৫০৬(২)/৩৪ বিধি মোতাবেক দায়েরকৃত ফৌজদারি নালিশ আমলে নিয়ে বিষয়টির পুলিশী তদন্ত রিপোর্টের আলোকে গত ৪ই এপ্রিল এই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

এই মামলায় রিজার্ভ বাজার ব্যসমায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার মিয়া বানুকে প্রধান আসামী ও তার ছেলে রুবেলকে তিন নাম্বার আসামী করা হয়। মামলায় বাদির প্রতিবেশী খোরশেদ আলম (৩৩)কে দুই নাম্বার, তার ভাই মোরশেদকে চার ও রোমানকে পাঁচ নাম্বার আসামী করা হয়।

গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে কয়েকদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিতে এসে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন আনোয়ার মিয়া বানুসহ তার ছেলে মামলার তিন নাম্বার আসামী রুবেল ও দুই নাম্বার আসামী খোরশেদ।

আদালত পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে আসামীদের জামিন আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার মিয়া বানু পুরো বাজার এলাকাটিতে একক আধিপত্য কায়েম করেছে বলে পুলিশী তদন্ত রিপোর্টেও উঠে এসেছে।

মামলার পুলিশী তদন্ত রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছেন, রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম। সরেজমিনে গিয়ে তৈরি করা তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের এই কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, মামলার বাদি মনজুরের প্রতিবেশি খোরশেদ এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা ও অভিযোগও চলমান রয়েছে। স¤প্রতি তাদের মধ্যে বাড়ি তৈরিকে কেন্দ্র করে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে খোরশেদের পক্ষ নিয়ে রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আনোয়ার মিয়া বানু আসামীদের সাথে নিয়ে মনজুরের বাসায় গিয়ে হামলা চালায় এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

যা সরেজমিনে গিয়ে এবং স্থানীয়দের গোপনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং বাদীর বাসার ছাদে প্রবেশ পূর্বক চাঁদা দাবি করতঃ ভয়ভীতি দেখাইয়া পেনাল কোডের ১৪৩/৪৪৭/৩৮৫/৫০৬(২)/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে মামলার বাদি জানান, ইতিমধ্যে গ্রেফতারের আগে আসামীরা তাদের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হলো এ কারনে আবারো তাদের বাসায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন বাদী।