আওয়ামীলীগ সমর্থককে গুলি করে হত্যা

338

বান্দরবান প্রতিনিধি – বান্দরবানে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তির নাম ক্য চিং থোয়াই মারমা (২৭)। শনিবার (১৮ মে) রাত ২টার দিকে রাজবিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্য চিং ওই এলাকার তা উ থোয়াই মারমার ছেলে।

রোববার (১৯ মে) ভোরে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ৫ নম্বর রাবার বাগান এলাকায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান , শনিবার রাত দুইটার দিকে একদল দূর্বৃত্ত সশস্ত্র অবস্থায় ক্যা চিংকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পর রাতে আর বাসায় ফিরে আসেনি ক্যাং চিং।

এ বিষয়ে রাজবিলার ইউপি চেয়ারম্যান কে অং প্রু মারমা জানান, নিহত ক্য চিং আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

এ ঘটনার খবর পেয়ে বান্দরবান সদর থানা ও রাজবিলা পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এই এলাকায় একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এদিকে এ ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ক্য চিংকে রাতে অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। তার বুকে ও পিঠে পাঁচটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করলেও জনসংহতির পক্ষ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. এনামুল হক ভূইয়া বলেন, একজনকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে ওই এলাকায় সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এর আগে ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করা হয় ফোলাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামে অপর এক কর্মীকে। এখনো তার কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে।