বাঙ্গালহালিয়াতে বন্য হাতির আক্রমণে কলা বাগান লন্ডভন্ড

635

রাজস্থলী প্রতিনিধি – রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কাকড়াছড়ি পাড়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে একদল বন্য হাতির আক্রমণে প্রায় ১০ একর জায়গার কলা বাগানের ফল সহ হাজার হাজার কলা গাছ লন্ড ভন্ড করে এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে পাড়ার কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সাবেক মেম্বার ও বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হ্লাথোয়াই মারমা গঞ্জ, পিতা-থোয়াইচামং মারমা, সাগ্যনু মারমা, পিতা- মুইসুইপ্র“ মারমা, রেহ্লাপ্র“ মারমা পিতা- মৃত রেগ্যসু মারমা, উথোয়াচিং মারমা, পিতা- মৃত রেগ্যা মারমা, মংচিংবোয়াং মারমা, পিতা-মৃত রেথোয়াই মারমা বলেন প্রতি বছর যে হারে বন্যা হাতির আক্রমণে জমির ধান সহ কলা বাগানের ক্ষতি করছে তা বছরে কাটিয়া উঠতে না উঠতেই এই বছর ও গত এক সপ্তাহ ধরে ৩৫/৪০টি বন্যা হাতির দল বেঁধে এসে সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত বাগানে হানা দিয়ে আমাদের প্রায় ১০ একর জমিতে রোপণ কৃত কলাসহ বাগান গুলো লন্ড ভন্ড করে ফেলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সাবেক ইউপি সদস্য হ্লাথোয়াই অং মারমা গঞ্জ বলেন আমার চার একর জমিতে রোপণ করা কলা গাছ গুলো থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার কলা বাজারে বিক্রি করে পরিবারে সাংসারিক খরচ মেটাতে হয়। কিন্তু প্রতিবছর বন্য হাতির দলটি যে হারে আমাদের ক্ষতি করে চলছে তাতে করে সরকারি সহযোগিতা ছায়া এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কোন পক্ষে সম্ভব না। বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন প্রতিবছরই এমন সময়ে বন্যা হাতির দলটি বাঙ্গালহালিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল গুলো নষ্ট করে লক্ষ লক্ষ টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে।তাই সরকারি সহযোগিতা ছাড়া এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কোন পক্ষে সম্ভব নায় বলে তিনি বলেন। এ বিষয়ে কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউ পি চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা গুলো রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় রেজুলেশন এর মাধ্যমে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে বলে জানান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
ছবিও ক্যাপশন ঃ বাঙ্গালহালিয়া কাকড়াছড়ি পাড়ায় বন্যাহাতির তান্ডবে বিদ্ধস্ত কলা বাগানের একাংশ।