পাহাড়ে এবার লিচুর ফলন বেড়েছে

803

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি–- রাঙ্গামাটিতে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। পাহাড়ি গ্রাম থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে উন্নত মিষ্টি জাতের রসালো লিচু। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে। ভৌগলিক সুবিধা আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাহাড়ে এবার লিচুর ফলন বেড়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

পাহাড়ে দেশী লিচুর পাশাপশি চায়না ও বোম্বে জাতের লিচুর চাহিদা বেশি। তাই লাভের আশায় পাহাড়ে এসব জাতের লিচু চাষাবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। এরই মধ্যে বাজারে এসেছে চায়না-২, চায়না-৩ জাতের লিচু। এ বছর লিচুর ফলনও বেড়েছে। রসালো ফরমালিনমুক্ত এই ফল স্থানীয় বাজারে প্রচুর চাহিদা ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখন এসব ফলমুল স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে। তবে চাষী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন এবার ভালো ফলন হলেও তারা ন্যায্য মুল্য পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটির বাইরে মালামাল নিতে পুলিশী হয়রানিসহ জেলা পরিষদকে বাড়তি ট্যাক্স দিতে হয়।

এ ছাড়া তিন জাতের দেশি লিচু আবাদ হচ্ছে পাহাড়ে। পাহাড়ে চাষাবাদে উপযোগী। ফলন ও উৎপাদনও প্রচুর। বর্তমানে স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে পাহাড়ের লিচু বাজারজাত হয়ে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাইরের বিভিন্ন জেলায়।

এব্যাপারে কৃষক সোনা মনি চাকমা ও প্রতুল চাকমা জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি সদরের বালুখালী, জীবতলী, মগবান, বন্দুকভাঙ্গা, সাপছড়ি, কুতুকছড়ি, কাপ্তাইয়ের নাভাঙ্গা, ওয়া¹া, বড়াদম, রাইখালীসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় লিচুর ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। দেশী প্রজাতির ১শত লিচু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা আর চাইনা-২ ও চাইনা-৩ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩শত টাকা। টসটসে রসালো ফরমালিনমুক্ত এই ফল স্থানীয় বাজারে প্রচুর চাহিদা ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখন এসব ফলমুল স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে।

এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক পবন কান্তি চাকমা জানান, গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। চলতি বছর রাঙ্গামাটির ১ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে হেক্টর প্রতি ৮.৫ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন মাত্রা ধরা হয়েছে।

রাঙ্গামাটিতে মৌসুমী ফলের ব্যাপক ফলন হলেও কোথাও হিমাগার নেই। ফলে পাহড়ের উৎপাদিত ফল সংরক্ষন করতে না পারায় প্রতি বছর লিচুসহ প্রচুর আম আনারস কলা নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাঙ্গামাটিতে একটি হিমাগার স্থাপনের দাবী স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।