অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

415

রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি -বান্দরবানের রোয়াংছড়ি প্রানসা ঝিরিতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে মধ্যেদিয়ে বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেহেদী হাসান। সাম্প্রতিক হাইকোর্টে জারিকৃত নিষিধাজ্ঞা রুলকে তোয়াক্কা না করে পাথর খেকোরা বেপরোয়ার ভাবে অবৈধ পাথর উত্তোলন করে মহোৎসব চলছিলেন ৩৪৯ নং ঘেরাউ মৌজার সীমান্তে খামতাম পাড়া নিচে প্রানসা ঝিরি ও প্রানসা শাখা ঝিরিতে গ্রাম বাসিদের (রিজার্ভ) সংরক্ষিত বন ও ঝিরি থেকে।

সূত্রে জানা গেছে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীরা সবাই রুমা উপজেলা ছাইপোক পাড়া ও রুমা থানা পাড়া বাসিন্দার মৃত: সাবাইউ মারমা এর ছেলে বাথোয়াইচিং মারমা, মংথোয়াইচিং মারমা এর ছেলে চিংসাথোয়াই মারমা (বিপ্লব) ও মো: কাসেম মিলে বাঙালির শ্রমিক দিয়ে বড় বড় হেমার, খন্ডা, জালানি কাঠের আগুনে ছ্যাঁক, মাটি খুঁড়ে বারুদ বিস্ফোরণ সহ বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবাধে হাজার হাজার ঘনফুট বোল্ডার পাথর খেকোরা উত্তোলন করে ছিলেন। এই পাথর উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক ঝিরি ঝর্ণাতে জীববৈচিত্র্যের হুমকিমুখে পড়েছে। শুধু তাই নয় বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসের পড়াও সংশয় ছিলেন। এলাকার বাসীদের অভিযোগে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেহেদী হাসান পাথর উত্তোলনটি দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পাড়া বাসী সহ চাইউপ্রু খেয়াং পাথর উত্তোলনে বন্ধের কথা শুনে খুশি হয়ে নির্বাহী অফিসারকে আন্তরিক ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অংথোয়াইপ্রু খেয়াং সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসনিক পদক্ষেপে শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় পাথর উত্তোলনে বন্ধ রয়েছে।

বাথোয়াইচিং মারমা ও চিংসাথোয়াই মারমা (বিপ্লব) বলেন যা হওয়ার হয়ে গেছে। আর আমরা ওই স্থান থেকে পাথর উত্তোলন করব না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেহেদী হাসান বলেন, রোয়াংছড়ি উপজেলা এলাকায় পাথর উত্তোলনকারীদের কোন প্রকারে সুযোগ দেওয়া হবে না। যারা প্রাকৃতিক ঝিরি ঝর্ণা থেকে পাথর উত্তোলন করবেন। তাদেরকে কঠোর ভাবে আইনে আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।