নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি- কৃষির উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, কৃষি এ দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম উৎস।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশীরভাগ জনসংখ্যার কর্মসংস্থান কৃষিকে অবলম্বন করেই হচ্ছে। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে জেলা প্রাণীসম্পদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি(এসআইডি-সিএইচটি)-ইউএনডিপি’র বাস্তবায়নে এবং ড্যানিডা’র অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প (৩য় পর্যায়) এর আওতায় সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা-কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে কৃষক সহায়তাকারীদের ৩৬দিন মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
বৃষ কেতু চাকমা আরো বলেন, কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারের কৃষি ভাবনার এক বাস্তব প্রতিফলন। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে বিদ্যা তোমরা প্রশিক্ষণ থেকে অর্জন করেছো তা যদি মানুষের কল্যাণে প্রয়োগ করতে না পারো তাহলে সে বিদ্যা মূল্যহীন। তাই অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগের কৌশলই হচ্ছে মাঠকর্ম প্রশিক্ষণ। পরে তিনি প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীদের ৫০টি করে ফলজ চারা প্রদানের ঘোষণা দেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুন কুমার দত্ত, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন, এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ফিরোজ ফয়সাল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরন চাকমা।
শেষে প্রশিক্ষণ কোর্সে জেলার ১০টি উপজেলার ৩০জন অংশগ্রহণকারী কৃষক সহায়তাকারীদের মাঝে সনদ ও কৃষি সরঞ্জমাদি বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দরা।