যে কোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে – মোঃ আলমগীর কবীর

317

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি – যে কোন ধরনের নাশকতা বা জঙ্গী হামলা ঠেকাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সন্ত্রাসীরা নিজেদের স্বার্থে মসজিদ, মন্দির, বিহার,গির্জাসহ প্রতিটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা করছে, বর্তমান এরকম একটা পরিস্থিতিতে আমাদের ও সতর্ক থাকতে হবে।

বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে সামনে রেখে বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ১০ উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, সহ বিশিষ্ট গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে নিয়ে কোনো জঙ্গীগোষ্ঠী বা মহল যাতে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষণ করে বৌদ্ধ মন্দির কেন্দ্রিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কোন কিছুকেই হালকা ভাবে নেবো না বলে উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফীউল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ১০ উপজেলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নেয়া হয়।

এসময় রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার আরো বলেন,বাংলাদেশ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এখানে যে কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নাশকতা বা হামলা আমাদের সকলের উপরই হামলার সামিল। তাই সকলকে যার যার অবস্থানে থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ১৮ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত জোড়দার করা হবে। যে কোন ধরনের তথ্য পেলে সাথে সাথে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করতে সকলকে আহবান জানান পুলিশ সুপার মোঃ আলমগী কবীর।

সভায় ১৮ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা নিয়ে বৌদ্ধ মন্দির সমূহে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাগ, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে না আসতে এবং বৌদ্ধ মন্দিরসমূহে সিসিটিভি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপন এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের জন্য বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেয়া হয়।