নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি – মাসিক আইন-শৃংখলা সভায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাগান চাষীদের কাছ থেকে নির্ধারিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে ৩০ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা।
শুক্রবার দুপুরে ইউপিডিএফরের কালেক্টর এলিন চাকমার নেতৃত্বে অস্ত্রসহ বেশ কজন সন্ত্রাসী উপজেলার নতুনপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিওিতে মাটিরাঙ্গা জোনের একটি টহল দল ঘন্টাব্যাপী ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেরে সন্ত্রাসীরা প্রথমে একটি বিয়ে বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকেও পালাতে বাধ্য হয়।
অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় নেয়া বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়। কিন্তু ততক্ষনে সন্ত্রাসীরা স্থানটি ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে টহল দলটি বিয়ের অনুষ্ঠান এলাকা ঘুরে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে জোন সদরে ফিরে আসে।
জানা গেছে, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মধুমাসকে সামনে রেখে ফলের মৌসুমে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাহাড়ের এসব সন্ত্রাসীরা। স¤প্রতি ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কার’সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মৌসুমী ফল আম, লিচু, কাঁঠাল ও আনরসের প্রতিটি বাগানে নতুন হারে ধার্য্য করা হয় বাৎসরিক চাঁদা।
জানা যায়, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এসব চাঁদা আদায় করে ইউপিডিএফের পক্ষে কালেক্টর এলিন চাকমা ও জেএসএস সংস্কারের পক্ষে ধিমান চাকমা। এছাড়ও ইউপিডিএফ সংস্কার এবং জেএসএস সহ বিভিন্ন সংগঠনের নামে বেনামে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা জোনের ষ্টাফ অফিসার মেজর আরেফিন মোঃ শাকিল জানান, এখানকার সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীরা পাহাড়ের এসব চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অনেকটাই অতিষ্ট। সাধারন মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখানে অভিযান চলমান রয়েছে এবং এসব বনবিরোধী কাজ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।