খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি – এবার খাগড়াছড়ি থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাসন্তী চাকমা। তিনি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টেরও সদস্য।
সংরক্ষিত নারী আসনে সরকারি দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনিই খাগড়াছড়ির প্রথম নারী হিসেবে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলেন।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা শেষে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী হিসেবে তাকে চূড়ান্ত করা হয়।
মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের জন্য একযোগে ৪১ জনের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
খাগড়াছড়ি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করাসহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোটের ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাসন্তী চাকমা।
প্রথমবারের মতো পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দেয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় বাসন্তী চাকমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহল।
প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়ায় দল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাসন্তী চাকমা বলেন, আমি সবসময় আওয়ামীলীগের পাশে থেকেছি আর আজীবন থাকব। আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু। আমার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি পার্বত্য এলাকায় পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নে কাজ করব। পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া নারীদের কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেবেন বলেও জানান তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাহাড়ের তিনটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত তিন প্রার্থীর বিজয়ের পর বাসন্তী চাকমাকে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দেয়ায় জাতীয় সংসদে এক-দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের চারজন প্রতিনিধিত্ব করবেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রাপ্ত আসন ৪৩টি। সেই হিসাবে এখনও দুটি আসনের মনোনয়ন বাকি রয়েছে।
শুক্রবার রাতে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয়ভাবে চুড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত আসনের এমপিরা হলেন, কুমিল্লার আঞ্জুম সুলতানা, সুলতানা নাদিরা-বরগুনা, হোসনে আরা-জামালপুর, ররুমানা আলী-গাজীপুর, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাবিবা রহমান খান (শেফালি)-নেত্রকোনা, শেখ এ্যানি রহমান-পিরোজপুর, অপরাজিতা হক-টাঙ্গাইল, শামীমা আক্তার খানম-সুনামগঞ্জ, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া-গাজীপুর, ফজিলাতুন নেসা-মুন্সীগঞ্জ, রাবেয়া আলীম-নীলফামারী, তামান্না নুসরাত বুবলী-নরসিংদী, নার্গিস রহমান-গোপালগঞ্জ, মনিরা সুলতানা-ময়মনসিংহ, নাহিদ ইজহার খান-ঢাকা, মোসাম্মৎ খালেদা খানম-ঝিনাইদহ, সৈয়দা রুবিনা মিরা-বরিশাল, ওয়াসিকা আয়েশা খান-চট্টগ্রাম, কাজী কানিজ সুলতানা-পটুয়াখালী, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার-খুলনা, সুবর্ণা মুস্তাফা-ঢাকা, জাকিয়া তাবাসসুম-দিনাজপুর, ফরিদা খানম (সাকী) নোয়াখালী, বাসন্তী চাকমা-খাগড়াছড়ি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ- কক্সবাজার, রুশেমা বেগম-ফরিদপুর, সৈয়দা রাশিদা বেগম-কুষ্টিয়া, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন-মৌলভীবাজার, আদিবা আনজুম মিতা-রাজশাহী, আরমা দত্ত-কুমিল্লা, শিরিনা নাহার-খুলনা, ফেরদৌসী ইসলাম জেসী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পারভীন হক সিকদার-শরীয়তপুর, খাদেজা নুসরাত-রাজবাড়ী, শবনম জাহান শিলা-ঢাকা, খাদিজাতুল আনোয়ার-চট্টগ্রাম, জাকিয়া পারভীন খানম-নেত্রকোনা, তাহমিনা বেগম-মাদারীপুর, শিরীন আহমেদ-ঢাকা এবং জিন্নাতুল বাকিয়া-ঢাকা।