একটি মহল পাহাড়ে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে………বৃষ কেতু চাকমা

554

নিজস্ব প্রতিবেদক-  রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন, সরকার উন্নয়ন চাইলেও একটি মহল নিজেদের স্বার্থে পাহাড়ে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে যদি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সে কখনোই খারাপ পথে যাবে না। সে বুঝতে শিখবে কোনটি ভালো কোনটি খারাপ। তিনি পাহাড়ের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার জুরাছড়িতে শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে জুরাছড়ি ভুবনজয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃদাঃ) সাজিয়া পারভীন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে ছেলে মেয়েদেরকে মেধাভিত্তিক শিক্ষায় গড়ে উঠার সুযোগ দিতে সবার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ছাত্র ছাত্রীরা যদি সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তাহলে সে নিজেই তার রাজনৈতিক দর্শন খুঁজে নিতে পারবে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্র ছাত্রীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীদের প্রতি মনোযোগী হয় তাহলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষকদের নিজের যেটুকু অর্জিত জ্ঞান আছে তা ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, সরকার পার্বত্য অঞ্চলের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই অঞ্চলের দুর্গমতার কথা ভেবে সরকার আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে একটি সময় ঝরে পড়ার হার বেশী ছিলো। কিন্তু সরকার মিড দা মিল চালুসহ আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করে ঝরে পড়ার হার রোধ করতে সক্ষম হয়েছে।

মতবিনিময়সভা শেষে চেয়ারম্যান জুরাছড়ির দুর্গা মন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং সুন্দরভাবে পুজা সম্পন্ন করার জন্য মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মদন মোহন নাথ ও সাধারণ সম্পাদক তপন কান্তি দে’র হাতে নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করেন।