থানচিঃ-করোনা ভাইরাস আতঙ্কে থানচিতে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে ভ্রমনে নিষেদাজ্ঞা না দিয়ে নিরুৎসাহীত করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১৮ মার্চ) সাড়ে ১১টা সময় প্রশাসনে এক কর্মচারী সামজিক মাধ্যমে একটি স্টেট্যাস লিখেছেন তা হুবাহু তুলে ধরা হলো
আমজাত হোসেন লেখেছেন থানচিতে ভ্রমনে নিরুৎসাহীত করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে থানচি উপজেলায় ভ্রমনেচ্ছু পর্যটকদেরকে আপাতত আগামি ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভ্রমনে নিরুৎসাহীত করা হচ্ছে। আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য। অনুরোধ ক্রমে জনাব আরিফুল হক মৃদুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানচি উপজেলা।
এদিকে থানচি উপজেলা নিবাসী কবি উমংসিং মারমা সামাজিক মাধ্যমে গত মঙ্গলবার স্টেট্যাসের লিখেছেন করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে থানচি উপজেলা পর্যটক ও বিদেশী নাগরিকদের ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষনা প্রদানের অনুরোধ জানান। সেখানে অনেকে কমেন্ট লিষ্টটে সমর্থণ দিয়েছে। ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি বান্দরবানে জেলা সমূহের বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন পর্যটক ভ্রমনে নিরুৎসাহীত করা হয়নি ভ্রমনের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বা বন্দ করে দিয়েছে। থানচি উপজেলা প্রশাসনে পর্যটকদের ভ্রমনে নিরুৎসাহীত করাকে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে আমজাত হোসেন ফেসবুক স্টেট্যাসের নজরে দেখার পর থানচি উপজেলা প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল হক মৃদুলকে থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা (অনুপম), সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রেমবো ত্রিপুরা বুধবার ১২.৩৫টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিপ করা হয়নি তিনি। সাংবাদিকদের মুঠো ফোন হতে ফোন করা হলে প্রশাসন ফোন রিসিপ না করার এইটি দীর্ঘদিনে। তবে বুধবার বেলা আড়াইটা তার অফিসের গেলে অফিসও বন্দ ছিল। নির্বাহী অফিসারের বাস ভবনে গেলেও দরজা লগ করে ঘুমন্ত অবস্থা রয়েছেন। সুতারাং নির্বাহী অফিসারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে আরটিভি ও দৈনিক সংবাদ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি সাফায়েত হোসেন এ প্রতিনিধিকে মুঠো ফোনে বলেন, আপনাদের নিবার্হী অফিসার কি অসুস্থ রয়েছেন তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিপ করা হয়না কেন?
সাময়িকভাবে করোনা ভাইরাস আতঙ্কের রক্ষা পেতে পর্যটকদের ভ্রমনের নিরুৎসাহীত নয় নিষেধাজ্ঞা দিন বলে দাবী জানাচ্ছেন থানচিবাসী।