॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
শারদীয় দুর্গাপূজা বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘বিজয় তিলক প্রদান’ (বড়রা ছোটোদেরকে আশীর্বাদ দেওয়া) উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে শহরের বিভিন্ন মন্দিরের মণ্ডপে দশমীর অঞ্জলি প্রদান শেষে গুর্খা সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে এই উৎসব চলে। আর এরই ধারাবাহিকতায় রাঙ্গামাটির জেল রোডস্থ সুর নিকেতন সংগীত শিক্ষালয় ভবনে সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খার আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে ‘বিজয় তিলক প্রদান’ উৎসব পালন করা হয়।
নীতি ভুবন চাকমা উপস্থাপনায় এ সময় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আনোয়ার আল-হক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সাংকৃতিক ইনস্টিউটের সহকারী সহকারী পরিচালক রুনেল চাকমা, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সহ সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন, বিশিষ্ট সংগীত শিক্ষক পংকজ বাহাদুর গুর্খা, শ্রী শ্রী গঙ্গা মায়ের মন্দিরের পরিচালক বাবুল ত্রিপুরা, অভিভাবক অনামিকা চাকমা, থুইম্রানু, সিনিয়র শিক্ষার্থী অশ্রু মুৎসুদ্দি, প্রসেনজীৎ দেব, সাংবাদিক মিল্টন বাহাদুর, সাংবাদিক মনু মারমা, বিগ এইচ প্রোডাকশনের স্বত্বাধিকারী ও বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হিমাদ্রী গুর্খা মিতুলসহ গুর্খা সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সুর নিকেতন সংগীত শিক্ষালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার আল-হক বলেন, পাহাড়ে গুর্খা সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে চলার পথ দেখাতে হবে। যাতে করে এই নতুন প্রজন্ম গুর্খা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উৎসব ও আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করতে পারে। একে অন্যের ভ্রাতৃত্ববোধ যাতে সুদৃঢ় হয়ে ওঠে তার জন্য উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খা বলেন, আদিকাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ শারদীয় দুর্গা উৎসবের দশমীর দিনে এই ‘বিজয় তিলক প্রদান’ পালন করে আসছে। এই উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সৌহাদ্য বৃদ্ধি করে।