॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজারে ২৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় নিহত তিন যুবকের মরদেহ দাহ ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরি এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তিনি বলেন, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা হতে সাড়ে ১২টার মধ্যে নিহতদের মরদেহ গুইমারার হাফছড়ি ও সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়নে তাদের নিজ নিজ গ্রামের শ্মশানে দাহ ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে প্রশাসন।
এদিকে গ্রামের বাসিন্দারা জানান, মরদেহ হস্তান্তরের পর রাতেই শোকাহত পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী নিহতদের দাহক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। মরদেহ গ্রামে পৌঁছলে কান্নার রোল পড়ে যায়। স্বজনদের আর্তনাদে বাতাসভারী হয়ে উঠে। নিহতদের মধ্যে থোয়াইচিং মারমাকে (২৫) বটতলাপাড়ায়, আখ্র মারমাকে (২৪) সাইংগুলিপাড়ায় এবং আথুই প্রু মারমাকে (২৬) লিচু বাগানে দাহ করা হয়। নিহত তিনজনের বাড়ি গুইমারা উপজেলার ২ নম্বর হাফছড়ি ইউনিয়নে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে এই ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওসি এনামুল হক চৌধুরি বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ কোনো মামলা দায়ের করেননি।
এর আগে গত রোববার কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর ব্যানারে ডাকা অবরোধের মধ্যেই বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।