খাগড়াছড়ি সনাতন ছাত্র-যুব পরিষদের উদ্যোগে মহালয়া উপলক্ষে মাতৃ সম্মেলন

22

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গাপূজার পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়ার মধ্যদিয়ে দেবীপক্ষ শুরু হলো।
শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দূর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। এই ‘চণ্ডী’তেই রয়েছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি।
হিন্দু আচার অনুযায়ী মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা-এই তিন পর্ব মিলে দুর্গোৎসব। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আশ্বিন মাসের এই শুক্লপক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ।
দেবীপক্ষের শুরু হয় যে অমাবস্যায়, সেদিন হয় মহালয়া; সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মহালয়ার প্রাক-সন্ধ্যায় কাত্যায়নী মুনির কন্যারূপে মহিষাসুর বধের জন্য দেবীদুর্গার আবির্ভাব ঘটে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের উদ্যেগে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে ভোরে শুরু হয় মহালয়ার আচার-অনুষ্ঠান। চন্ডি পাঠ, ঘট স্থাপন ও দেবী মায়ের চরণে ১০৮ টি পদ্ম ফুল অপর্ণ এর মধ্যে পূজার ও মাতৃ আবহনের গান দিয়ে অনুষ্ঠিকতা শুরু‘মহাশক্তি, মহামায়া, দুর্গতিনাশিনী’ দেবীদুর্গাকে মর্ত্যে আসার আবাহন জানান হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
দশভূজা দেবীদুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন। সন্তানদের নিয়ে পক্ষকাল পিতার গৃহে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। আশ্বিন শুক্লপক্ষের এই ১৫টি দিন দেবীপক্ষ, মর্ত্যলোকে উৎসব। ত্রেতা যুগে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রাম শরৎকালে দেবীকে আহ্বান করেছিলেন বলে এ পূজা শারদীয় দুর্গাপূজা নামেও পরিচিত। আর মর্ত্যলোকে আসতে দেবীর সেই ঘুম ভাঙানোকে বলা হয় অকালবোধন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে শুরু হবে এবারের দুর্গাপূজা।
খাগড়াছড়ি সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের উদ্দ্যোগে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ভোরে শুরু হয় চন্ডি পাঠ ,ঘট স্থাপন ও দেবী মায়ের চরণে ১০৮টি পদ্ম ফুল অপর্ণ এর মধ্যে পূজার ও মাতৃ আবহনের গান দিয়ে অনুষ্ঠিকতা শুরু হয়। বেলা তিন ঘটিকার সময় চিত্র অংকন প্রতিযোগীতা মাতৃ সম্মেলন, হতদরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে নগত অর্থ প্রধান শেষে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম, জেলার পৌর প্রশাসক হলেন নাজমুন আরা সুলতানা, সদর নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়, জেলার সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদ এর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার নির্মল দাশ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক মজুমদার, সহ সভাপতি সাধন পাল,সাধারণ সম্পাদক তমাল দাশ লিটন, শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ন মন্দির পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশিষ ভট্টাচার্য্য,স্থায়ী কমিটি সদস্য রনজিত দে, বাবুল দেব ও স্বপন চৌধুরী প্রমুখ। আনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন, সনাতন ছাত্র-যুব পরিষদের সভাপতি শেখর সেন।