॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি শহরের অন্যতম আর্কষণ পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি দেড় মাস ধরে পানির নিচে নিমজ্জিত। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সেতুটিতে উঠতে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে আসা পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এক সময় পর্যটকের ভিড়ে সরব এ স্থান এখন নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোটেল-মোটেল মালিকরা।
পর্যটন কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গত ৩০ জুলাই রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। বর্তমানে সেতুটি সাড়ে তিন ফুট পানির নিচে। এর অন্যতম কারণ কাপ্তাই হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া। ১৯৮৬ সালে নির্মিত ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি বর্ষা মৌসুমে প্রায় তিন মাস পানিতে ডুবে থাকে। বহু বছর ধরে সমস্যাটি চললেও সেতুকে উঁচু করার উদ্যোগ নেয়নি কর্পোরেশন।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুমে ও এখন পর্যটক আসেন। কিন্তু সেতুটি ডুবে যাওয়ায় পর্যটক অর্ধেকের বেশি কমেছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে স্থায়ী সমাধান জরুরি।
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা দুই পর্যটক মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. মোমিন বলেন, আমরা পরিবারের সবাই এসেছিলাম ঝুলন্ত সেতু দেখতে। এসে দেখি সেতু পানির নিচে। সেতুটিতে উঠে ছবি তোলার খুবই ইচ্ছা ছিল। তবে সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, ঝুলন্ত সেতুর বিকল্প হিসেবে একই স্থানে আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেতু থেকে প্রতি মাসে অন্তত ৫ লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় সেতু ডুবে যায়। আধুনিক ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাস্তবায়ন হলে পর্যটন শিল্পে নতুন প্রাণ ফিরে আসবে।