॥ লক্ষীছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম ও সীমিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমৃদ্ধ লক্ষীছড়ি উপজেলায় সম্প্রতি ২০২৫ সালের প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩ শতাংশ। তিনটি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরিচালিত এই উপজেলার ফলাফলে এবারও শিক্ষার্থীদের চেষ্টা-সাধনার ছাপ স্পষ্ট হলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির খাতায় কেউ নাম লেখাতে পারেনি।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩১৫ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩০ জন এবং ৮৫ জন অকৃতকার্য হয়েছে। উপজেলার তিনটি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা শাখা ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়:
১. লক্ষীছড়ি মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজনেস স্টাডিজ: উত্তীর্ণ ৪ জন, অকৃতকার্য ৩ জন। মানবিক বিভাগ: উত্তীর্ণ ৫১ জন, অকৃতকার্য ১৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগ: উত্তীর্ণ ১৪ জন, অকৃতকার্য ৩ জন।
২. বর্মাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজনেস স্টাডিজ: উত্তীর্ণ ৪০ জন, অকৃতকার্য ১০ জন। মানবিক বিভাগ: উত্তীর্ণ ৮৭ জন, অকৃতকার্য ৪২ জন।
৩. দুইল্যাতলী জুনিয়র হাইস্কুলে বিজনেস স্টাডিজ: উত্তীর্ণ ২ জন। মানবিক বিভাগ: উত্তীর্ণ ৩২ জন, অকৃতকার্য ১৪ জন।
এই উপজেলায় বিদ্যালয়ের সংখ্যা কম এবং শিক্ষা অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা থাকার পরও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে জেলা শহর ও সমতল অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে পড়ার পেছনে রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট, পর্যাপ্ত কোচিং সুবিধা, আধুনিক সুযোগ সুবিধা, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সমস্যা, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব ও পরিবারিক পরিবেশের সীমাবদ্ধতা।
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহল মনে করছেন, পাশের হার কিছুটা সন্তোষজনক হলেও শিক্ষার মান ও গুণগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশাসন ও বিদ্যালয়গুলোকে আরও কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, লক্ষীছড়ি উপজেলার মোট তিনটি বিদ্যালয় থেকেই প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ভবিষ্যতে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের প্রত্যাশা রয়েছে এলাকাবাসীর।