থানচি কলেজের আইসিটি ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদার ফেলে রেখেছে ২-৩ বছর

17

॥ থানচি প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের থানচি উপজেলার থানচি কলেজের আইসিটি ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের তিন বছর ধরে ফেলে রেখে গেচ্ছে ঠিকাদার। আইসিটি ভবন না থাকায় প্রতিনিয়ত শতাধিক শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাস, ভিডিও কনফাররেন্স, পাওয়ার পয়েন্টে মাধ্যমে কম্পিউটার ক্লাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহনের ২০২২-২৩ সালে থানচি কলেজের একাধেমিক কর্মকান্ডে মৌলিক শিক্ষা ব্যবস্থা পেতে প্রায় ৮২ লক্ষ টাকার ব্যয়ের ৪র্থ তলা ফাউন্ডেশনের
প্রথম তলা নির্মানের দরপত্র আহবান করেন। সর্বনিন্ম দরপত্রে অংশ গ্রহন করেন বান্দরবানের এক ঠিকাদার তাকে দেড় বছর মেয়াদে ভবন নির্মান বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ দেন। তিনি থানচি উপজেলার বাসিন্দা হ্লামংচিং মারমাকে কিছু লাভ নিয়ে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে কার্যাদেশ হাতে পেয়ে ঠিকাদার সংস্থা হ্লামংসিং মারমা লেয়র দিয়ে খুটি, বিমসহ ১৫% বাস্তবায়ন কাজ করে একই বছরে ফেলে রেখে গেচ্ছে। কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা ভবন নির্মান কাজের ঠিকাদার সাথে যোগাযোগ করা হলে ও কাজ করবো করবো বলেন কিন্তু দুই হতে তিন বছর কাজের কোন হাত দেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে কাজ না করে ঠিকাদার ফেলে রেখে যাওয়াই ভবনটিতে বৃস্টিতে ভবনের রড, বিম, খুটি সম্পুর্ন মরিচা ধরে রডসহ নস্ট হয়ে যাওয়ার মতো দেখা গেচ্ছে।
একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ডমেথুই মারমা, কোখ্যাই খুমি, রত্না ত্রিপুরা জানান, আইসিটি বিষয়ের ক্লাস করা হলে ও প্রাক্টিক্যাল হাতে নাতে ক্লাস না হওয়া গত বছরে ও অনেকে ফাইনেলের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে আমরা ও আগামিতে আইসিটি বিষয়ের ফেল হওয়া শংঙ্খা রয়েছে।
অধ্যক্ষ ধমিনিক ত্রিপুরা বলেন, বান্দরবানের গেলে সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে প্রথম দেখা করি। তারা বললো হবে হবে কিন্তু দির্ঘ তিন বছর অতিবাহিত হলো বাস্তবায়নের কোন প্রকার পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
যোগাযোগ করা হলে, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মির্জানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঠিকাদার সংস্থা রানিং বিল হিসেবে ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করার পর লোকশান হয়েছে ২০২৪ সালে বাস্তবায়নের আত্নসমর্পন করেছেন। সুতারাং তাকে বাতিল করেছি। আবারো সহকারী প্রকৌশল পাঠিয়ে বাকি অংশ পুন: বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে চলতি বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।