॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু সাথীফসল ও গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব এবং সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) জাহিদ ইকবাল একথা বলেন।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগার ক্রপ চাষাবাদ জোরদার করন প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, আখের সাথে সাথীফসল চাষ করে একই জমি থেকে বছরে দুই-তিনটি অতিরিক্ত ফসল পাওয়া যায়। সাথী ফসল চাষ করে কৃষক নিজের পরিবারের চাহিদা মেটানোর পরে উদ্বৃত্ত অংশ বাজারে বিক্রয় করে নগদ অর্থ উর্পাজন করে। এ অঞ্চলে কৃষক আখের সাথে সাথী ফসল চাষ করে শুধু সাথী ফসল থেকে প্রতি হেক্টরে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে। সাথী ফসল স্বল্প মেয়াদি হওয়ায় কৃষক তার বিনিয়োগকৃত মূলধনের একটি অংশ ৩/৪ মাসের মধ্যে ফেরৎ পায়, যা ইক্ষুর পরিচর্যা ও তার পারিবারিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যয় করতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপযোগি সাথী ফসল পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ফরাশসীম, মুলা, বাঁধাকপি ও গোল আলু সবচেয়ে উপযোগি সাথী ফসল। তবে ফুলকপি, টমেটো, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, ধনেপাতা, চিনাবাদাম, মিষ্টি আলু সহ ইত্যাদি সাথী ফসল হিসাবে চাষ করা যায় বলে কর্মশালায় অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
বান্দরবান কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এম এম শাহ নেয়াজ এর সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগার ক্রপ চাষাবাদ জোরদার করন প্রকল্পের আয়োজনে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, বাংলাদেশ বেতার বান্দরবান এর আঞ্চলিক পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার, কৃষিবিদ কনসালটেন্ট ক্যছেন, বান্দরবান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, আখচাষী মংবানু মারমা, নাজমুল আহসান সমির, আপ্রুসিং মার্মা সহ প্রমুখ। কর্মশালায় জেলার মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত আখচাষীরা অংশ গ্রহণ করেন।