সবুজ ভবিষ্যতের স্বপ্নে বান্দরবানের বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

6

॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বান্দরবান সদর উপজেলার বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পরিবেশ প্রেমীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “প্লাাস্টিক দূষণ রোধ করুন”, যা পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির একটি জরুরি আহ্বান।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে সূচনাটি হয় পরিবেশ সংরক্ষণের শপথ গ্রহণ দিয়ে। বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফৌজুল কবির দিবসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আমরা আজ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করি তার উপর। এই তরুণ প্রজন্মের শক্তি রয়েছে পৃথিবীকে আরো সবুজ ও বাসযোগ্য করে তোলার।”
এসময় উৎসব মুখর পরিবেশে একাধিক পরিবেশ-সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রতিয়োগিতা “ভবিষ্যতের পরিবেশের স্বপ্ন দেখো” শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পরিবেশ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা। পরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পরিবেশ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। সদর রেঞ্জ অফিসার বন বিশেষজ্ঞ মোঃ আরিফুল আলমের সাথে মতবিনিময় পর্ব, যেখানে তিনি টেকসই জীবনের ব্যবহারিক দিকসমূহ তুলে ধরেন “চারা বিতরণ” কার্যক্রম, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী একটি বনজ প্রজাতির চারা গ্রহণ করে তার নিজ বাড়িতে রোপণ করার অঙ্গীকার করে। এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, যার বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন, তহ্জিংডং এবং সহযোগিতা করেছে আরইডিএএ কর্তৃক বাস্তবায়িত “পার্বত্য চট্টগ্রাম বনাঞ্চলের পরিবেশ পুনরুদ্ধার কর্মসূচি সম্প্রারণ প্রকল্প”।
এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রেরণা যোগিয়েছে। অংশগ্রহণকারী অনেক শিক্ষার্থীই পরিবেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব বোধের কথা ব্যক্ত করেছে এবং ভবিষ্যতে আরো পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফৌজুল কবির, সদর রেঞ্জ অফিসার বন বিশেষজ্ঞ মোঃ আরিফুল আলম, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ কামরুল ইসলাম, তহ্জিংডং এর ফিল্ড অফিসার মাশৈচিং মারমাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।