॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
ইমাম মুয়াজ্জিন এবং মসজিদের খাদেমদের ঈদ সালামি দিয়ে অতীতের চেয়ে ব্যতিক্রম ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও রাঙ্গামাটি পৌরসভা। এছাড়া সদরের সকল ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের মাঝে ঈদ সালামি পৌঁছে দিতে এতে সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেছে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মো: হাবীব আজম।
রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুর দুইটায় রাঙ্গামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ইকবাল বাহার চৌধুরী এর সভাপতিত্বে ও বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাও. মো. আশহাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো: হাবীব আজম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ইমাম সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মাওলানা তোফায়েল আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার আল হক, কাওমি ওলামা পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মাওলানা মোস্তফা হেজাজি প্রমুখ।
এসময় রাঙ্গামাটি পৌরসভা ও সদরের ১০৫টি মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের হাতে ঈদ সালামি নগদ অর্থ তুলে দেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো: হাবীব আজম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: হাবীব আজম বলেন, ত্যাগ-তাকওয়া আর সংযমের শিক্ষা গ্রহণের মধ্যদিয়ে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ব্যক্তি, পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনকে সুন্দর ও পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর বিশ্বজনীন ঐক্য, সংহতি, সহমর্মিতা এবং অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে এলো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ব্যক্তি জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানেরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর হৃদয় আনন্দে উপচে পড়া ঈদুল ফিতর সমাগত হয়। এই ঈদুল ফিতরের আনন্দ সকলের সাথে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরাও যাতে ভাগাভাগি করে নিতে পারে তাই এই ঈদ সালামি ‘উপহার’ হিসেবে দেওয়া হলো।
হাবীব আজম আরো বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করেছি সকলের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। আমাদের এই সামান্য উপহার আপনাদের ঈদকে আরো উৎসব মুখর করবে বলে আশা প্রকাশ করছি।