বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের পার্বত্য জেলা পরিষদে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি

49

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বড়ুয়ারা বাঙালি নয়, বাংলাদেশী ও পিছিয়ে পড়া বৌদ্ধ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। অন্তবর্তী সরকারের পুনগর্ঠিত তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কোনো বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর নাম নেয়। বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নাম রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে অর্ন্তভুক্ত করার দাবিতে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠন ও রাঙ্গামাটি বড়ুয়া কল্যাণ সংস্থার নেতারা। জেলা পরিষদ পুর্নগঠনে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর কোনো সদস্যের নাম না থাকায় এ অন্তবর্তী সরকার বৈষম্য করেছে। পরিষদ সংস্কার করে বড়ুয়াদের থেকে একজন প্রতিনিধি রাখতে হবে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বড়ুয়া নেতৃবৃন্দরা।
লিখিত বক্তব্যে নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ সদস্য জনগণের অপরিচিত এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী। এমনও আছে একই পরিবারের একাধিক সদস্য রয়েছে। যা বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সুনাম দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন, বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা’র পক্ষে আহবায়ক শ্যামল চৌধুরী, সদস্য সচিব ধীমান বড়ুয়া ও মিল্টন বড়ুয়াসহ অন্যান্য নেতারা।
জেলা পরিষদ গঠনের এবার কাউখালী, রাজস্থলী, জুরাছড়ি ও বরকল থেকে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। তাই নানা মহলে চলছে সমালোচনা। এই পরিষদে হত্যা মামলার আসামিকেও সদস্য হিসেবে রাখার গুঞ্জন উঠেছে। নবগঠিত এই পরিষদ থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে সংস্কারের দাবি জানিয়ে এরই মধ্যে বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলন, চার উপজেলা সুশীল সমাজের নেতারা প্রতিবাদ করছে আসছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বরাববে জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাছলিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অন্তবর্তীকালীন চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ গঠিত হয়।