রাঙ্গামাটির লংগদুতে বন্যহাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলো বনবিভাগ

61

॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥
রাঙ্গামাটির লংগদুতে বন্যহাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেকে আর্থিক সহায়তা দিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নের একটি ভবনে বন্য হাতি মানুষ দ্বন্ধ নিরসনে কার্যকর উপায় বিশ্লেষক শীর্ষক এক সেমিনারের মাধ্যমে বন্য হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারকে চেক প্রদান করা হয়।
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা কফিল উদ্দীন মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় সহকারি বন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার মিত্র, লংগদু উপজেলার পাবলাখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সজিব কুমার মজুমদার, সুবলং ইউনিয়নের স্টেসন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জানালিস্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সারাদেশে যেখানে মানুষ দ্বারা হাতির মৃত্যু হচ্ছে, সেখানে পাহাড়ে প্রজনন হচ্ছে হাতির। লংগদুতে মানুষরা হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু হাতির জন্য আন্তরিকতার শেষ নেই এই অঞ্চলের মানুষের। তারা বলেন, রাঙ্গামাটির লংগদুতে শুধু হাতির সুস্থ প্রজনন অব্যাহত রয়েছে। দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্য হাতির সংখ্যা। এই অঞ্চলে হাতির আক্রমণে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু একটি হাতিরও মৃত্যু হয়নি এখানে। উল্টো এই অঞ্চলের মানুষ অসুস্থ হাতিকে সেবা করে সুস্থ করে তুলেছে। তাই হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগ। বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হাতির বিকল্প নেই। হাতির প্রতি মানুষ একটু সহনশীল হলে হাতির মৃত্যু শুন্যের কোটায় নিয়ে আসা যাবে।
পরে আলোচনা সভা শেষে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদম এলাকার বন্য হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চেক তুলেদেন অতিথিরা।