॥ রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর মন্ডপে স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কর্তৃক প্রত্যক্ষ পূজা পূর্ববর্তী প্রস্তুতিসহ অনারম্বর জাঁকজমকপূর্ণ এ উৎসব অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয় উপজেলার সাব জোনের কমান্ডার মেজর ইয়াসিন কর্তৃক ইতিপূর্বে পূজা মন্ডপ পরিদর্শনসহ সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বিজিবি মোতায়েনসহ স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সপ্তমীতে রোয়াংছড়ি সাব জোনে কমান্ডার মেজর ইয়াসিনসহ উপজেলার অন্যান্য স্থানীয় কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দসহ পূজা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৫ কেজি মিষ্টি ও জিলাপি বিতরণ করা হয়।
সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি সহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এ তিন স্তরের যে নিরাপত্তা বলয় গ্রহণ করা হয়েছে। তাতে জনমনে প্রশান্তিসহ সংখ্যালঘুদের এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনে অত্যন্ত আনন্দের প্রতিফলন ঘটেছে বলে সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করে।
এ সময় পূজা কমিটির সভাপতি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নেপাল কান্তি দাশের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে সার্বিক সহায়তাসহ নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়ায় পূজা অনুষ্ঠান আরও জাঁকজমকপূর্ণ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই অনুষ্ঠান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলে ও জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে যে সরব উপস্থিতি রয়েছে, তা দশমী পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে। ক্যাম্প কমান্ডার এ সময় আরো বলেন প্রতিটি ধর্মের ন্যায় প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব। আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেনাবাহিনী একটি গৌরবের জায়গা। তার প্রত্যেকে উপস্থিতিতে ও প্রত্যেক সম্প্রদায়ের এবং প্রত্যেক ধর্মীয় অনুভূতি সহ অনুষ্ঠান আয়োজনে সব সময় এর নাই। এবারও সার্বিক আয়োজনে কোন ত্রুটি রাখেনি। ফলে এই দুর্গা পূজা উৎসবের ব্যাপক আনন্দ বয়ে আনবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পরিদর্শনের সময় সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুর ইসলাম, ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আলমগীর, রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আলী, রোয়াংছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মেহ্লাঅং মারমা, আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ^নাথ তঞ্চঙ্গ্যা, আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও মো. মিজানুর রহমান, পূজা মন্ডপের মনিটরিং কমিটি সদস্য ছাত্র-জনতার সমন্বময়ে গঠিত মনিটরিং কমিটি সদস্য ছাত্র প্রতিনিধি ঢাকা ইউডা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী অংহ্লাচিং মারমা, পূজা উদযাপন কমিটি সভাপতি ও অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নেপাল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক রুপন পাল।