বাংলাদেশী হিসেবে প্রত্যেকের নিজস্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান

61

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পার্বত্য সদর উপজেলার বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ এবং পরিচালনা কমিটির’র প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, খাগড়াছড়িকে সম্প্রতি কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বিরাজমান ছিল যা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাধান হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রদায়িক ঘটনাসমূহকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরাজমান অস্থিরতায় তাদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান বর্জনের যে ধারণা করা হচ্ছিল তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি হিসেবে সকলেরই তার নিজস্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে এবং সকলে মিলে একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান-২৪ উদযাপনের অনুরোধ জানান, সেইসাথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশ,আনসার-ভিডিপি সদস্যের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে এবং সকলে মিলে একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে কঠিন চীবর দান স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করবেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন তিনি।
বৌদ্ধ ভিক্ষুকেরা জানান, আমরা সাম্প্রদায়িক ঘটনা সংঘটিত হওয়া খুবই দুঃখ জনক ঘটনা এবং খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালির সহাবস্থানের জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে খাগড়াছড়ি রিজিয়নসহ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনাসমূহকে কেন্দ্র করে প্রচলিত গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, এএসইউ অধিনায়ক লে. কর্নেল রাজগীর, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের ব্রিগেডের জিএস-২ মেজর জাবির সোবহান মিয়াদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও রাজস্ব) ফেরদৌসী বেগম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিসত্ব দেওয়ান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) এ. জেড. এম নাহিদ হোসেন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ) মো. আতিকুর রহমান, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘে সভাপতি তেজবংশ মহাথের, য়ংড বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ক্ষেমাসারা মহাথের, অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ানসহ সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।