কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাইঃ-চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, কর্ণফুলী পেপার মিল বাংলাদেশের গর্ব। রাষ্ট্রের অনেক প্রয়োজনে কেপিএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ৭০ বছরের পুরাতন কারখানাটি বয়সের ভারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত কেপিএম উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পেরেছে। এটি একটি উল্লেখ করার মতো বিষয়। বাংলাদেশ সরকার কর্ণফুলী পেপার মিলের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে আসছে। কেপিএমের প্রতি উর্দ্ধতন মহলের নজরদারি রয়েছে। ভবিষ্যতে কেপিএমের সার্বিক উন্নয়নে সরকার আরো সহযোগিতা দেবে বলেও বিভাগীয় কমিশনার আস্বস্থ্য করেন। তিনি কর্ণফুলী পেপার মিল পরিদর্শনে গিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে তমবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনার কেপিএম এসে পৌঁছলে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ড. এম এম এ কাদের তাঁকে স্বাগত জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান, ওসি (তদন্ত) মোঃ নুরুল আলম, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, সিবিএ সভাপতি আবদুল রাজ্জাক ও সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।
বিভাগীয় কমিশনার সমগ্র কেপিএম কারখানা ঘুরে দেখেন।
এসময় তিনি বলেন, ছোট বেলায় আমরা পাঠ্য বইয়ে পড়েছি এশিয়া বিখ্যাত কর্ণফুলী পেপার মিল চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত। আমরা কেপিএম উৎপাদিত কাগজে লেখাপড়া করেছি। কেপিএমের কাগজ এখনো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকার বছরের শুরুতে দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন যে পাঠ্য বই তুলে দিচ্ছে তা কর্ণফুলী পেপার মিলে উৎপাদিত কাগজে ছাপা হয়। এই তথ্যটি তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি গোচরে আনবেন বলে জানান। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী যদি অবহিত হন যে, তিনি প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের হাতে যে নতুন নতুন পাঠ্য বই তুলে দিচ্ছেন তা কেপিএম উৎপাদিত কাগজে ছাপা হচ্ছে তা হলে প্রধানমন্ত্রী কেপিএমের জন্য আরো বেশী সহযোগিতা করবেন। তবে কেপিএমের সার্বিক উন্নয়নে কারখানার সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারি ও কর্মকর্তাকে আরো বেশি আন্তরিকতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। কোন ধরণের অনিয়ম এবং যে কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি থেকে কেপিএমকে রক্ষা করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। কর্ণফুলী পেপার মিল এলাকার বিশাল খালি জায়গাকে কাজে লাগানোর জন্যও তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। মিল এলাকায় উৎপাদিত সকল প্রকার ফলফলাদিসহ যাবতীয় অর্থকরী ফসল কারখানার আর্থিকখাতে নিয়ে আসার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন। অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে কেপিএম ঘুরে দাঁড়াতে সচেষ্ট হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফলতাও পেয়েছে এ জন্য তিনি কারখানা সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। সুযোগ পেলেই কারখানার মঙ্গল হয় এমন তথ্য সরকারের উর্দ্ধতন মহলের কাছে উপস্থাপন করবেন বলেও বিভাগীয় কমিশনার মতবিনিময় সভায় বলেন।